আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে হাল ছাড়েনি সরকার। এ বিষয়ে কূটনৈতিক ও আইনি প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে।
Advertisement
তিনি বলেন, সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, সেদেশে কোনো ক্রিমিনাল রাখবেন না। তার এই নীতি ঠিক থাকলে সেদেশে অবস্থানকারী রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে আনা সহজ হবে।
মন্ত্রী তার বক্তব্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে রাশেদ চৌধুরীকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেয়ার অনুরোধ জানান।
মঙ্গলবার সন্ধায় ঢাকা আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি। এ সভার আয়োজন করে ঢাকা আইনজীবী সমিতি।
Advertisement
আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পূর্বাপর ঘটনাই বলে জিয়াউর রহমান এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের নায়কদের ধরার জন্য অবশ্যই কমিশন গঠন করা হবে। তবে এই কমিশনের কাজ অতটা সহজ হবে না। কারণ হত্যাকাণ্ডের প্রায় ৪৪ বছর পর এই কমিশন গঠন হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি জানে যে, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডে জিয়াউর রহমান জড়িত, তাই তারা এর বিচার করেনি। এমনকি ২০০১ সালে বিএনপি সরকার গঠনের পর উচ্চ আদালতে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার কাজ বন্ধ করে রেখেছিল। জিয়াউর রহমান যদি স্বাধীনতার ঘোষক হতেন তাহলে তিনি রাজাকারদের প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রী বানাতেন না।
মন্ত্রী বলেন, দেশে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে। তাই আসুন আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে সব ষড়যন্ত্র নষ্যাৎ করি।
সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট গাজী মো. শাহ আলমের সভাপতিত্বে সভায় বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন এমপি, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী মো. কামরুল ইসলাম, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ হেলাল চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান প্রমুখ বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের নিষ্ঠুরতার কথা তুলে ধরেন এবং বঙ্গবন্ধুর জীবন নিয়ে আলোচনা করেন। সভা শেষে বঙ্গবন্ধু ও তার সঙ্গে নিহত পরিবারের সদস্যদের রূহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া করা হয়।
Advertisement
এফএইচ/জেডএ/এমএস