দুই বছর সাজাভোগের পর অবৈধপথে ভারতে পাচার হওয়া আট বাংলাদেশি তরুণী ও দুই শিশুকে বাংলাদেশে হস্তান্তর করেছে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ ও বিএসএফ।
Advertisement
মঙ্গলবার বিকেলে কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদের যৌথভাবে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ ও চেকপোস্ট বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে।
ফেরত আসারা হলেন- ঠাকুরগাঁওয়ের মিম আক্তার (১৭), মনি আক্তার (১৯), রুবিনা খাতুন (১৮), রিনা বেগম (১৬), মুক্তা আক্তার (১৯ ), বরিশালের মুন্নি আক্তার (২২), ইতি খাতুন (২১) ও রেক্সোনা আক্তার (১৭) এবং দুই শিশু।
তারা বলেন, দুই বছর আগে কাজের জন্য বিভিন্ন সীমান্ত পথে তারা দালালের খপ্পরে পড়ে ভারতে পাড়ি জমায়। পরে ভারতীয় পুলিশ তাদের আটক করে জেলহাজতে পাঠায়। সেখান থেকে কলকাতার হাওড়ায় অবস্থিত লিলুয়া শেল্টার হোম নামের একটি এনজিও সংস্থা তাদের ছাড়িয়ে নিজেদের আশ্রয়ে রাখে। দু'দেশের মধ্যে চিঠি চালাচালির একপর্যায়ে দুই বছর পর তারা নিজ দেশে ফেরত আসে।
Advertisement
বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি আবুল বাশার বলেন, এরা দালালদের খপ্পরে পড়ে ভারতে পাচার হয়। পরে দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিঠি চালাচালির একপর্যায়ে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে তারা দুই বছর পর আজ দেশে ফেরত আসে। তাদের বেনাপোল পোর্ট থানায় পাঠানো হয়েছে।
বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আলমগীর হোসেন বলেন, ফেরত আসাদের কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে পরিবারের কাছে পৌঁছে দিতে মানবাধিকার সংগঠন রাইটস যশোরের প্রতিনিধির কাছে তুলে দেয়া হয়েছে।
রাইটস যশোরের কো-অর্ডিনেটর তৌফিকুজ্জামান জানান, দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যোগাযোগের মাধ্যমে স্বদেশ প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় তাদের ফেরত আনা হয়েছে। বেনাপোল পোর্ট থানার আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে এদের যশোর রাইটস এর শেল্টার হোমে রাখা হবে। এরপর তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের হাতে তুলে দেয়া হবে। তারা যদি পাচারকারীদের শনাক্ত করে মামলা করতে চায় তবে তাদের আইনি সহায়তাও দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
জামাল হোসেন/এমএএস/এমএস
Advertisement