জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের জেরে দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিয়ে এখন আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ব্যাপক আলোচনা চলছে। এমন প্রেক্ষাপট সামনে রেখে ফ্রান্স এবং দুই ইসলামি রাষ্ট্র সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন সফরে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
Advertisement
মঙ্গলবার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, আগামী ২২ থেকে ২৬ আগস্ট মোদির এই সফরে তিন দেশের সঙ্গে যেসব দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে, বাণিজ্যিক দিক থেকে তা ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সফরে ‘রাজনৈতিক’ প্রসঙ্গের পাশাপাশি সন্ত্রাস বিরোধী ও কৌশলগত সম্পর্ক বাড়ানোর ওপর জোর দেয়া হবে। ওই তিন দেশের কাছে কাশ্মীর নিয়ে অবস্থান ও পাক মদদপুষ্ট সন্ত্রাসবাদ ঠেকাতে নয়াদিল্লির নেয়া পদক্ষেপ জোরালোভাবে তুলে ধরবে ভারত।
গত সপ্তাহে কাশ্মীর নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে পাঁচ স্থায়ী সদস্যের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া একমাত্র ফ্রান্সই পুরোপুরি ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছিল।
মুসলিম দেশগুলোর সংগঠন অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশনের (ওআইসি) সদস্য বাহরাইন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত। দু’টি দেশই পাকিস্তানের ঐতিহ্যগত মিত্রও। কিন্তু কাশ্মীরকে আন্তর্জাতিক প্রসঙ্গ করে তোলার পাক চেষ্টার প্রকাশ্য সমালোচনা করেছে এ দুই দেশ। আমিরাতের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কাশ্মীরে অনুচ্ছেদ ৩৭০ বিলোপ করার সিদ্ধান্ত ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তেল আমদানির প্রশ্নে ভারতের অন্যতম মিত্র এই দেশ নয়াদিল্লির পাশে দাঁড়িয়েছে।
Advertisement
পশ্চিমবঙ্গের বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার বলছে, আবু ধাবির পাশাপাশি বাহরাইন সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা করবেন সেদেশের যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি তার আমন্ত্রণে সেদেশে অনুষ্ঠেয় জি-৭ বৈঠকেও উপস্থিত থাকবেন মোদি। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, দূষণ, উষ্ণায়ন, সমুদ্র গবেষণা ও ভারত মহাসাগর এবং প্রশান্ত মহাসাগরের নিরাপত্তা ও বাণিজ্য নিয়ে কথা বলবেন মোদি।
এসআইএস/এমএস
Advertisement