জাতীয়

দেশীয় দুগ্ধ শিল্প ধ্বংসের পাঁয়তারা কি না, খতিয়ে দেখার সুপারিশ

দেশীয় দুগ্ধ শিল্প ধ্বংসের পাঁয়তারা চলছে কি না- তা খতিয়ে দেখার সুপারিশ করেছে সরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। এ শিল্প রক্ষায় সব ধরনের ষড়যন্ত্র বন্ধের দাবি জানিয়ে এই শিল্পে কোনো ঘাটতি থাকলে তা পূরণেরও সুপারিশ করা হয়।

Advertisement

মঙ্গলবার সংসদ ভবনে কমিটির পঞ্চম বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেডের ছয়জন শীর্ষ কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।

এতে বলা হয়, একটি কুচক্রী মহল নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য মিল্ক ভিটাসহ তরল দুধের গুণগত মান নিয়ে বিভিন্ন সময় সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য প্রচার করে সুনাম নষ্ট করছে। এ জন্য মিল্ক ভিটার বিক্রি কমে গেছে।

Advertisement

অন্যদিকে চার বছর ধরে ইউরোপসহ অন্যান্য দেশে সরকারি ভর্তুকি প্রদান করায় সেখানে দুগ্ধ উৎপাদন বিশেষ করে গুঁড়া দুধ উৎপাদন অস্বাভাবিক মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে।

মিল্ক ইউনিয়ন কর্তৃক যথাযথ গুণগতমানসম্পন্ন গুঁড়া দুধ বাজারের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জ্য রেখে উৎপাদন করা হলেও আমদানি করা বিদেশি গুঁড়া দুধের আমদানি শুল্ক কম থাকায় মিল্ক ইউনিয়নের গুঁড়া দুধ আশানুরূপ বিক্রি হচ্ছে না।

কমিটির সভাপতি আ স ম ফিরোজের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, ওমর ফারুক চৌধুরী, ইসমাত আরা সাদেক, নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, মো. মাহবুব-উল আলম হানিফ, মির্জা আজম, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এবং মো. জিল্লুল হাকিম অংশ নেন।

বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেডের (মিল্ক ভিটা) সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

Advertisement

দুধের গুণগত মান নিশ্চিত করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় জনশক্তি নিয়োগের মাধ্যমে মিল্ক ভিটার সুনাম অক্ষুণ্ন রাখতে সুপারিশ করে কমিটি।

মিল্ক ভিটায় কোনো অনিয়ম, দুর্নীতি থাকলে তা প্রতিকারের জন্য কঠোর নীতি প্রণয়নের সুপারিশ করে কমিটি। কমিটি সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুর উপজেলার বাঘাবাড়ীতে দুগ্ধ কারখানা পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

এ ছাড়া বৈঠকে উল্লেখ করা হয় যে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে মোট দুগ্ধজাত পণ্য বিক্রির পরিমাণ ৩২৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি আ স ম ফিরোজ সাংবাদিকদের বলেন, দেশীয় দুগ্ধ শিল্পের সঙ্গে হাজার হাজার খামারি জড়িত। কিন্তু এ বিকাশমান শিল্প নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্য পাওয়া যাচ্ছে। এগুলোর তেমন কোনো ভিত্তি নেই।

কমিটির সদস্য মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, কোনো প্রতিষ্ঠানের ভুল থাকলে তা সংশোধনের সময় দিতে হবে। কিন্তু অবৈজ্ঞানিক তথ্য নিয়ে ব্যবসার ক্ষতি যাতে না হয়, সেদিকে সরকারকে নজর দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

বৈঠকে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব, মিল্ক ভিটা লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এইচএস/জেডএ/জেআইএম