রাজধানীর কমলাপুরে ট্রেনের পরিত্যক্ত বগি থেকে উদ্ধার হওয়া মাদরাসাছাত্রী আসমা খাতুনকে (১৭) ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
Advertisement
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে তার মরদেহের ময়নাতদন্তের পর এমন ধারণা করেন ঢামেক ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ডা. প্রদীপ বিশ্বাস।
সাংবাদিকদের তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আসমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তাকে হত্যার আগে ধর্ষণ করার আলামত মিলেছে। তার গলায় কালো দাগ, ডান স্তনে ক্ষত দাগ, নাকে জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হত্যার আগে আসমা এক না একাধিক ব্যক্তি দ্বারা ধর্ষিতা হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য হাই-ভ্যাজাইনাল সফট টিস্যু, রক্ত ও ভিসেরা সংগ্রহ করে সেগুলো পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এগুলোর রিপোর্ট এলে বিস্তারিত বলা যাবে।
Advertisement
এর আগে সোমবার সকালে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে বলাকা কমিউটার ট্রেনের পরিত্যক্ত বগির ভেতর আসমার গলায় ওড়না পেঁচানো মরদেহটি পাওয়া যায়। তার ব্যাগে মোবাইল নম্বর থেকে পরিচয় শনাক্ত করে পুলিশ।
আসমার বাড়ি পঞ্চগড় সদর উপজেলার সিনপাড়া গ্রামে। তার বাবার নাম আব্দুর রাজ্জাক। সে পঞ্চগড়ের খানবাহাদুর মাদরাসা থেকে এসএসসি পাস করেছে।
নিহতের চাচা রাজু জানান, রোববার সকাল থেকে আসমাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। বাঁধন নামে এক ছেলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ওইদিন সকাল থেকে বাঁধনকেও পাওয়া যাচ্ছিল না। পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে কমলাপুর রেলস্টেশন গিয়ে আসমার মরদেহ দেখতে পাই। আমাদের ধারণা, বাঁধনই তাকে ফুসলিয়ে ঢাকায় নিয়ে এসেছে।
এআর/জেএইচ/পিআর
Advertisement