ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, এডিশ মশার লার্ভা ধ্বংসে ডিএনসিসির টিম বাড়ি বাড়ি যাবে। যদি সেখানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় তবে প্রাথমিকভাবে সেই বাড়িতে স্টিকার লাগিয়ে দেয়া হবে।
Advertisement
এর ৭ দিন পর আবার ওই বাড়িতে গিয়ে যদি এডিস মশার লার্ভা দেখা যায়, তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে বাড়ির মালিককে জরিমানা করা হবে বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার গুলশানের ডা. ফজলে রাব্বী পার্ক (পুলিশ প্লাজার বিপরীত দিকে) থেকে এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংসকরণ ও বিশেষ পরিচ্ছন্নতায় চিরুনি অভিযান কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
অভিযানটি আজ ১৯ নম্বর ওয়ার্ড (গুলশান ও বনানী এলাকা) থেকে শুরু হয়। এ ওয়ার্ডকে ১০টি ব্লকে ভাগ করে প্রতিটি ব্লককে ১০টি সাব-ব্লকে ভাগ করা হয়। প্রতিদিন ১টি ব্লকের ১০টি সাব-ব্লকের প্রতিটি বাসা-বাড়ি, প্রতিষ্ঠান, খোলা জায়গা ইত্যাদি সম্পূর্ণরূপে পরিষ্কার ও এডিস মশার লার্ভা ধ্বংস করা হবে। এভাবে ১০ দিনে এ ওয়ার্ডটি সম্পূর্ণরূপে পরিষ্কার এবং এডিস মশার লার্ভা নির্মূল করা হবে। ডিএনসিসির অন্যান্য ওয়ার্ডেও পর্যায়ক্রমে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
Advertisement
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, দুই বাড়ির মাঝখানে যে আঙ্গিনা বা ল্যান্ড আছে এগুলোতে, এছাড়া বাসার ১০ তলা, ৯ তলা, ৮ তলা বা ছাদের ওপরে, ঘরের বেলকুনি, বারান্দা, গ্যারেজে এডিস মশা জন্ম নিচ্ছে এসব স্থানে গিয়ে মশার লার্ভা ধ্বংস করা সিটি কর্পোরেশনের একার পক্ষে সম্ভব না। এজন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে। সবাই সচেতন না হলে শুধু সিটি কর্পোরেশন এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারবে না। এছাড়া দুই বাড়ির মাঝখানের অংশ পরিষ্কারের দায়িত্ব সিটি কর্পোরেশনের একার নয়।
তিনি বলেন, আমরা একটি চিরুনি অভিযান শুরু করছি। আমরা প্রথম সাতদিন অভিযান করবো। পরবর্তী সাত বা দশ দিন পর আমরা আবারও যাব। যদি লার্ভা সরানো না হয়, তাহলে আমরা জরিমানা করবো। বিভিন্ন সরকারি বা বেসরকরি প্রতিষ্ঠান বা নির্মাণাধীন ভবনে কাজ শুরু করেছি। আমরা যারা বসবাস করি আমাদের জায়গাটি কেন আমরা পরিষ্কার করবো না? আমার বাসার সামনে যেমন পরিষ্কার থাকবে পেছনেও তেমন পরিষ্কার থাকতে হবে। এগুলো কিন্তু সিটি কর্পোরেশনের পক্ষে করে দেয়া সম্ভব না।
মেয়র আরও বলেন, আমরা একটি ওয়ার্ডকে ১০ ভাগ এবং ১০টি ভাগকে সাব-ব্লকে ভাগ করা হয়েছে। আমরা একটি চিরুনি অভিযান পরিচালনা করবো। প্রতিদিন অভিযান পরিচালনা করা হবে। আমাদেরকে এডিস মশা থেকে বাঁচতে হলে জনগণকে নিয়ে কাজ করতে হবে। আমরা অভিযান করে যাওয়ার পরে আপনারা ঘর বসে থাকবেন না। সঙ্গে সঙ্গে আমি আমাদের ৫৪ জন কাউন্সলরকে অনুরোধ করবো আপনরাও মাঠে নেমে পড়ুন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হাই, সচিব রবিন্দ্র শ্রী বড়ুয়া, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোমিনুর রহমান মামুন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপণা কর্মকর্তা মঞ্জুর হোসেন প্রমুখ।
Advertisement
এএস/এমএসএইচ/পিআর