চাঁদের কক্ষপথে পা রাখল ভারতের চন্দ্রযান ২। স্থানীয় মঙ্গলবার সকাল ৯ টা ২৮ মিনিটে চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করেছে চন্দ্রযান ২। এতে সময় লেগেছে ১৭৩৮ সেকেন্ড বা ২৮ মিনিট ৯৬ সেকেন্ড। ইসরোর তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, আগামী ৭ সেপ্টেম্বর চাঁদের মাটিতে নামবে চন্দ্রযান ২। এর আগে গত ২২ জুলাই যাত্রা শুরু করে চন্দ্রযান ২।
Advertisement
ইসরোর কাছে এটি ছিল বিশাল চ্যালেঞ্জ। কারণ পুরো প্রক্রিয়াটির সাফল্য নির্ভর করছিল চন্দ্রযান ২ এর গতির ওপর। যে গতি নিয়ে এটির চাঁদের কক্ষপথে ঢোকার কথা তার থেকে বেশি গতি থাকলে এটি চাঁদের কক্ষপথ থেকে ছিটকে মহাশূন্যে হারিয়ে যেতে পারত। আর নির্দিষ্ট গতির থেকে কম গতিতে চন্দ্রযান ২ কক্ষপথে ঢুকলে চাঁদের অভিকর্ষ বলের টানে এটি আছড়ে পড়তে পারত চাঁদের মাটিতে। উৎক্ষেপণের সময় ‘জিএসএলভি-মার্ক-৩’ রকেটের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৩৯ হাজার ২৪০ কিলোমিটার।
চাঁদের কক্ষপথে ঢোকার পর এই যানটি সেখানে ১৫ দিন ঘুরতে থাকবে। এরপর আগামী ৭ সেপ্টেম্বর চাঁদের মাটিতে নামবে চন্দ্রযান ২। গত ২২ জুলাই অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় চন্দ্রযান ২। প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে প্রথমবার উৎক্ষেপণের এক ঘন্টা আগেই তা বাতিল করা হয়। তবে দ্বিতীয়বারের চেষ্টায় উৎক্ষেপণ সফল হয়। এই মিশনে খরচ হচ্ছে এক হাজার কোটি রুপি। এই পুরো অভিযানের সময়সীমা ৪৬ দিন।
বিজ্ঞানীদের ধারণা, চাঁদের মাটিতে সৃষ্টির আদি সময়ের ফসিল অবিকৃত অবস্থায় থাকতে পারে। তবে সেটা অবশ্যই সর্বত্র নয়। চাঁদের যেসব জায়গায় সূর্যবিমুখ, শুধু সেখানেই থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে যেহেতু বেশকিছু এলাকায় সূর্যরশ্মি সরাসরি পৌঁছায় না, তাই সূর্যের বিকিরণগত পরিবর্তনও সেখানে কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
Advertisement
এতেই ফসিল অবিকৃত থাকবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। চন্দ্রযান-২ এর অভিযাত্রী যান ‘প্রজ্ঞান’ আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে খুঁজে বের করবে সেই তথ্যই। অন্তত এমনটাই আশা করছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। সেই সঙ্গে চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযান-১ যে জলকণার সন্ধান পেয়েছিল, তা নিয়ে আরও বিশদ গবেষণা করবে চন্দ্রযান-২।
টিটিএন/এমকেএইচ