জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার আওলাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাককে (৫২) বিয়ের দাবিতে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বর ও চেয়ারম্যানের বাড়িতে সোমবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অনশন করেছেন ফারিয়া আখতার চুমকী (৩৮) নামে এক গৃহবধূ। খবর পেয়ে পালিয়ে গেছেন চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক।
Advertisement
ফারিয়া আখতার চুমকী গাইবান্ধার কামদিয়া এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী সনি চৌধুরীর স্ত্রী ও এক কন্যা সন্তানের জননী।
চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক পাঁচবিবি উপজেলার ছাতিনআলী গ্রামের মৃত ইউনুস মন্ডলের ছেলে ও আওলাই ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য।
ফারিয়া আখতার চুমকী অভিযোগ করে বলেন, ৬-৭ মাস আগে মোবাইলে চেয়ারম্যানের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর থেকেই বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে আমার সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। কিছুদিন আগে আমাদের সম্পর্কের বিষয়টি আমার স্বামীসহ আত্মীয়দের মধ্যে জানাজানি হলে তারা আমাকে বিভিন্ন রকম চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। বিষয়টি চেয়ারম্যান রাজ্জাককে জানিয়ে বিয়ের কথা বললে সে বিভিন্ন রকম তালবাহানা করতে থাকে। এতে কোনো উপায় না পেয়ে আজকে বিয়ের দাবিতে চেয়ারম্যান রাজ্জাকের কাছে এসেছি। আমি এখানে আসার পর সে পালিয়ে গেছে।
Advertisement
আওলাই ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আমিনুল ইসলাম জানান, ওই গৃহবধূকে তার পরিবার রাতে এসে নিয়ে গেছে। ঘটনাটি সত্য নয়, সাজানো নাটক।
আওলাই ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার সেকেন্দার আলী বলেন, পাশের জেলার এক গৃহবধূ চেয়ারম্যানকে বিয়ের দাবি নিয়ে এসেছিল। যেহেতু এটা প্রমাণসাপেক্ষ ব্যাপার তাই তাকে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে আওলাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
পাঁচবিবি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনসুর রহমান জানান, ঘটনাটি শুনেছি। ওই গৃহবধূ অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Advertisement
রাশেদুজ্জামান/আরএআর/এমকেএইচ