আন্তর্জাতিক

জম্মু-কাশ্মীরে বজরং দল ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের র‌্যালি

গত কয়েকদিন ধরে কাশ্মীরের পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত। বেশ কয়েকদিন হলো জম্মুর নিষেধাজ্ঞাও শিথিল করা হয়েছে। প্রথামিকভাবে জম্মুর পাঁচ জেলায় বন্ধ থাকা টেলিফোন এবং ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করা হলেও গতকাল রোববার ফের জম্মুজুড়ে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেয়া হয়।

Advertisement

সেখানকার অনেক স্থানে টেলিফোন সংযোগও বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। প্রশাসন বলছে, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এটা করা হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি অবশ্য ভিন্ন। জম্মুর বাসিন্দারা মনে করছেন, অতি ডানপন্থী দুটি সংগঠনের বাইক ব়্যালি থেকে যাতে অশান্তি না ছড়ায় তার জন্যই মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ।

ভারতীয় টেলিভিশন এনডিটিভি এক অনলাইন প্রতিবেদনে স্থানীয় সূত্ত্রের বরাতে জানিয়েছে, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দল জম্মুতে বাইক ব়্যালি করে। তার জেরে যাতে কোনও বিক্ষোভ বা হিংসা যাতে না ছড়ায় তাই এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

গত ৫ আগস্ট ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা বাতিল করে। স্বায়ত্বশাসন সংক্রান্ত দেশটির সংবিধানের ৩৭০ ও ৩৫-ক অনুচ্ছেদ বাতিল করা ছাড়াও, রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করার ঘোষণা আসে। তার আগে থেকেই গোটা উপত্যকা কঠোর নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়।

Advertisement

সংবিধানের ধারা বাতিলের আগেই সেখানে অতিরিক্ত ৫০ হাজার সেনা মোতায়েন এবং যেকোনো ধরনের জমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা করা হয়। কাশ্মীরের সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রীসহ চার শতাধিক আঞ্চলিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে প্রশাসন। বন্ধ করে দেয়া হয় টেলিফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবা।

গত সপ্তাহে জম্মুর পাঁচ জেলায় টেলিফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ চালু করা হয়। সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেয়া হয়, হিংসা ও অশান্তি না হলে পরিস্থিতি বিচার করে পর্যায়ক্রমে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হবে। তারই জেরে টেলিফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবার চালু করে।

গোটা কাশ্মীরে ১০০টিরও বেশি টেলিফোন এক্সচেঞ্জ রয়েছে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, সেসব টেলিফোন একচেঞ্জের মধ্যে ১৭টি চালু করা হয়েছে। এছাড়া কাশ্মীরের বদগাঁও, সোনমার্গ এবং মণিগাঁও এলাকায় মিলছে পরিষেবা।

উত্তর কাশ্মীরের গুরেজ, তাঙ্গমার্গ, উরি, কেরান কারনাথ এবং তাঙ্গধর অঞ্চলের বাসিন্দারাও কিছুটা যোগাযোগ সুবিধা ফিরে পেয়েছেন। শ্রীনগরের বন্দর, সিভিল এলাকা ও সেনানিবাসে এলাকাতেও এই পরিষেবা ফের চালু হয়।

Advertisement

সরকারি এক আধিকারিক জানান, আরও ২০টি এক্সচেঞ্জ সচল করার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে। জম্মু-কাশ্মীরে কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধে আদালতে ৬টি আবেদন জমা পড়েছে। আবেদনকারীদের বলছেন, কাশ্মীরের স্বায়ত্বশাসন রদ করে দুভাগ করার সরকারি সিদ্ধান্ত অবৈধ।

এসএ/এমকেএইচ