গত কয়েক দিনের অনিশ্চয়তা কাটিয়ে অবশেষে ট্যানারিতে চামড়া আসা শুরু হয়েছে। রোববার সচিবালয়ে সরকার, ট্যানারি মালিক, আড়তদার ও কাঁচা চামড়া সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের পর বকেয়া টাকা আদায় ছাড়াই আড়তদাররা ট্যানারি মালিকদের কাছে কাঁচা চামড়া বিক্রি শুরু করেছেন। ফলে সোমবার সকাল থেকে সাভার চামড়া শিল্প নগরীর বিভিন্ন ট্যানারিতে ট্রাক বোঝাই কাঁচা চামড়া ঢোকা শুরু হয়েছে।
Advertisement
এদিকে আড়তদারদের আগের পাওনা প্রায় চারশ কোটি টাকা ট্যানারি মালিকরা কীভাবে পরিশোধ করবেন তা আগামী ২২ আগস্ট নির্ধারণ করবে এফবিসিসিআই।
অপরদিকে ট্যানারিতে কাঁচা চামড়া প্রবেশ করায় সাভার চামড়া শিল্প নগরীতে কর্মরত শ্রমিকদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে।
চামড়া না আসলে ট্যানারি মালিকদের পাশাপাশি শ্রমিকরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয় জানিয়ে ট্যানারি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, সরকার, ট্যানারি মালিক ও আড়তদারদের মধ্যে সমঝোতার কারণে আবার এখানে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে আসায় আমরা খুবই খুশি। তবে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রফতানি খাত হিসেবে ভবিষ্যতে যাতে চামড়া শিল্পে কোনো অস্থিরতা সৃষ্টি না হয় এবং শিল্পটি যাতে সুষ্ঠু এবং সুন্দরভাবে চলে এজন্য চামড়া বোর্ড গঠনের দাবি জানান তিনি।
Advertisement
ট্যানারি শ্রমিক রফিকুল ইসলাম বলেন, চামড়া না আসলে মালিকদের চেয়ে শ্রমিকদের সমস্যা বেশি হয়। আমরা বেকার হয়ে যাই এবং পরিবার নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ি। তাই যত দ্রুত সম্ভব ট্যানারি মালিকদের সঙ্গে আড়তদারদের বিদ্যমান সমস্যার স্থায়ী সমাধানের দাবি জানান তিনি।
এ. এস লেদার কমপ্লেক্সের মালিক আব্বাস উদ্দিন বলেন, সরকারি সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে আমরা কাঁচা চামড়া কিনতে শুরু করেছি। তবে গত বছরের ক্রয় করা চামড়া মজুত থাকায় এবং বিদেশি ক্রেতা কমে যাওয়ায় সেগুলো বিক্রি করতে পারিনি। এই মুহূর্তে নগদ টাকার অভাব থাকায় আমরা স্বল্প পরিসরে হলেও নগদে চামড়া কিনছি।
আল-মামুন /এমএমজেড/এমএস
Advertisement