আইন-আদালত

ডলার ছিনতাই : এএসআইয়ের বিরুদ্ধে রায় ১৯ সেপ্টেম্বর

ডলার ছিনতাইয়ের অভিযোগে রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানার এএসআই আলমগীর হোসেন (সাময়িক বরখাস্ত) ও জনৈক মাসুম বিল্লাহ বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার রায় ঘোষণার জন্য আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) দিন ধার্য করেছেন আদালত।

Advertisement

আজ সোমবার (১৯ আগস্ট) মামলাটির রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ঢাকার দ্রুত বিচার আদালত-৩ এর বিচারক দেবদাস চন্দ্র অধিকারী রায় ঘোষণার জন্য নতুন করে ১৯ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।

আসামি আলমগীর হোসেন যশোরের ঝিকরগাছা থানাধীন কীর্তিপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে। মাসুম বিল্লাহর বাড়ি ঢাকার দোহার থানাধীন উত্তর শিমুলিয়া গ্রামে। ১৫ লক্ষাধিক টাকার সমপরিমাণ মার্কিন ডলার ছিনতাইয়ের অভিযোগ নড়াইল জেলার নড়াগাতি থানার খাসিয়াল মধ্যপাড়ার বাসিন্দা ইলিয়াস ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগে ইলিয়াস বলেন, তিনি লতিফ ইম্পেরিয়াল মার্কেটের এইচএস মানি এক্সচেঞ্জের মালিক। ২০১৭ সালের ৪ এপ্রিল বিকেল ৩টার দিকে রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানাধীন রাজলক্ষ্মী মার্কেটের সামনে গাড়ির জন্য দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। হঠাৎ ঢাকা মেট্টো-গ-১৯-০৯৭০ নম্বরের সাদা একটি প্রাইভেটকার তার সামনে থামে। গাড়ি থেকে কয়েকজন লোক নেমে ডিবি পরিচয়ে তাকে গাড়িতে তুলে নেন।

Advertisement

একপর্যায়ে কালো কাপড় দিয়ে তার চোখ বাঁধা হয়। এরপর তার কাছে থাকা মানি এক্সচেঞ্জের ১৮ হাজার ৮০০ ইউএস ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৫ লাখ ৪ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। ওই সময় ইলিয়াসের চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হলে আসামিরা তাদের ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু উপস্থিত জনতা গাড়ি আটকে মাসুম বিল্লাহকে আটক করেন। অপর চারজন পালিয়ে যান।

পরে পুলিশ মাসুম বিল্লাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি ওই ঘটনায় জড়িত এএসআই আলমগীর হোসেন, জনৈক হাবিব ডলার, রাশেদ ও সুমনের নাম জানান। পুলিশ মাসুম বিল্লাহকে জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরে এএসআই আলমগীর হোসেনকে গ্রেফতার করে। পরে তাকে রিমান্ডে নেয়া হয়। মাসুম বিল্লাহ আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করেন।

ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক নূরে আলম সিদ্দিক মামলাটি তদন্ত করে আলমগীর হোসেন ও মাসুম বিল্লাহর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। অপরদিকে হাবিব ডলার, রাশেদ, মো. সুমন ও সজলকে অব্যাহতি দেয়ার আবেদন করেন।

২০১৭ সালের ১৯ জুন তাদের দুইজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। অপরদিকে হাবিব ডলার, রাশেদ, মো. সুমন ও সজলকে অব্যাহতি প্রদান করেন করেন আদালত। মামলায় ১৬ সাক্ষীর মধ্যে ১০ জন বিভিন্ন সময়ে আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেছেন।

Advertisement

জেএ/আরএস/এমকেএইচ