ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন খুলনা নগরীর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী (২৮)। এ ঘটনায় ওই ছাত্রী মামলা করেছেন। মামলার বাদী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএর ওই ছাত্রী বর্তমানে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তিনি তার সন্তানের পিতৃত্বের দাবি করেছেন।
Advertisement
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বরগুনা জেলার পূর্ব কেওড়া বুনিয়ার গোলাম কবীরের ছেলে তানজিল ইসলাম (২৫) বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ পড়ুয়া ওই ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় ওই ছাত্রী বাদী হয়ে চলতি বছরের ১৯ জুন খুলনা সদর থানায় তানজিলসহ তার বাবা-মাকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেছেন, ২০১৭ সালে তার সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় তানজিলের। বছর খানেক প্রেম করার পর ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তানজিল বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে খুলনার সাতরাস্তা মোড়ের টাইটান আবাসিক হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করে তাকে। সর্বশেষ চলতি বছরের ২২ এপ্রিল একই হোটেলের চতুর্থ তলার ৪০৯ নম্বর কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করার পর তিনি গর্ভবতী হয়ে পড়েন।
বিষয়টি তানজিলকে জানানো হলে সে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। পরবর্তীতে তানজিলের বাবা ও মাকে বিষয়টি জানান তিনি। কিন্তু তানজিলের বাবা-মা তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের পাশাপাশি হুমকিও দেন।
Advertisement
ওই ছাত্রী আরও জানান, তানজিল বিবাহিত এবং কন্যা সন্তানের বাবা। বিষয়টি গোপন করেই তার সঙ্গে প্রেমের অভিনয় এবং বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। তিনি এখন পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তার সন্তানের পিতার পরিচয় দরকার। বিষয়টি তানজিলের বাবা-মাকে জানানোর পর তারা খুবই খারাপ ব্যবহার ও হুমকি দিয়েছে। এমনকি টাকার বিনিময়ে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টাও করেছে। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের পাশাপাশি সন্তানের পিতৃত্বের দাবি জানান।
এ বিষয়ে খুলনা সদর থানার এসআই শাহনেওয়াজ বলেন, ওই ছাত্রী তিনজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। মামলার ১নম্বর আসামি সরকারি চাকরি করে। এ ঘটনায় তাকে ক্লোজড করা হয়েছে। আসামির বাবাও সরকারি চাকরি করে। সেখানেও অফিসিয়ালভাবে মামলার বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবে এখনও কাউকে আটক করা হয়নি।
আলমগীর হান্নান/এফএ/পিআর
Advertisement