মাদারীপুরের শিবচরে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে লৌহজং টার্নিংয়ে যাত্রীবোঝাই এমভি সুরভী ও এমভি আশিক লঞ্চের সঙ্গে ফেরির সংঘর্ষ হয়েছে। রোববার সন্ধ্যার এ দুর্ঘটনায় অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন প্রায় ৩ শতাধিক যাত্রী।
Advertisement
প্রত্যক্ষদর্শী যাত্রী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লৌহজং টার্নিংয়ে ডাম্প ফেরি রায়পুরার সঙ্গে এমভি আশিক লঞ্চের ধাক্কা লাগে। এতে লঞ্চের দুই যাত্রী নদীতে পড়ে যান। পরে তাদের দ্রুত উদ্ধার করা হয়। লঞ্চ দুটি কাঁঠালবাড়ী ঘাট থেকে ঢাকাগামী যাত্রী নিয়ে শিমুলিয়া ঘাটের দিকে যাচ্ছিল।
ডাম্প ফেরির চালক মো. হারুন অর রশিদ জানান, শিমুলিয়া থেকে ছেড়ে টার্নিং পয়েন্টে আসার কিছুক্ষণ পরই রং সাইড থেকে আসা একটি লঞ্চ আমার ফেরির পেছনের অংশে ধাক্কা খায় এতে লঞ্চটির সামান্য ক্ষতি হয়। এর কিছুক্ষণ পর আবার একটু সামনে গেলে এমভি সুরভী নামের আরেকটি লঞ্চ আমার ফেরির ডান দিক থেকে বাম দিকে ক্রসিং করতে গেলে ধাক্কা লাগে। কিন্তু লঞ্চ দুটোই অক্ষতভাবে যাত্রী নিয়ে শিমুলিয়া প্রান্তে পৌঁছেছে।
তবে কাঁঠালবাড়ী ঘাট লঞ্চ মালিক সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি তোতা মিয়া হাওলাদার জানান, লৌহজং টার্নিং পয়েন্টের কাছে এসে বিপরীত থেকে আসা ডাম্প ফেরির সঙ্গে ধাক্কা লাগলে একটি লঞ্চের আংশিক ক্ষতি হয়। কিন্তু এমভি আশিক লঞ্চটি ফেরির ধাক্কায় চরের ওপর উঠে যায়। পরে অপর একটি লঞ্চ এসে লঞ্চটি উদ্ধার করে ও যাত্রীদের শিমুলিয়া ঘাটে পৌঁছে দেয়।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, অদক্ষ মাস্টার ফেরিটি চালানোর কারণেই মাত্র ২০ মিনিটের ব্যবধানে একই চ্যানেলে পরপর দুটি লঞ্চের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় দুটি লঞ্চের প্রায় ৩ শতাধিক যাত্রী।
নাসিরুল হক/এফএ/পিআর