বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বুধবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।
Advertisement
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর একটা টেপ রেকর্ডার ছিল আমার কাছে। প্রতিবার সেই টেপ রেকর্ডারে আমি নতুন টেপ ভরে নিতাম, নতুন ব্যাটারি ভরে নিতাম। দেখতাম ওটা ঠিক আছে কি-না। উনি যখন বক্তৃতা দিতেন, তখন আমি ওই টেপ রেকর্ডারে তা রেকর্ড করতাম। বক্তৃতার পর উনি আবার ওটা শুনতেন। শোনার পর বলতেন, এসব জায়গা বাদ দিয়ে দাও। এগুলো প্রেসে যাবে না। আমি তখন প্রেস বিভাগের লোকজনকে বলতাম, এসব জায়গা যাবে না। বাদ দিয়ে দাও।
১৫ আগস্ট রাতের বর্ণনা দিয়ে মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমি যখন শুয়ে পড়ি তখন প্রায় ১টা বাজে। ভোর সাড়ে ৫টা কিংবা পৌনে ৬টার দিকে আমার এক আত্মীয় টেলিফোন করে বলেন যে, আপনি কি জানেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে? আমি খুব ক্ষেপে গেলাম। এগুলো কী বলছেন আপনি! আমি ৯টার সময় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে যাচ্ছি, স্যারকে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাব। আপনি আজেবাজে কথা কেন এভাবে বলছেন!’
‘উনি বললেন, আপনি রেডিও শোনেন। আমি রেডিও চালু করলাম। প্রথম কথাই যেটা শুনলাম, শেখ মুজিবকে হত্যা করা হয়েছে! আমার প্রথম প্রতিক্রিয়া হলো, কেউ যেন পরিহাস করছে। কিন্তু এই রেডিওতে কে পরিহাস করবে? কী অদ্ভুত ব্যাপার না!’
Advertisement
একটি ঘটনার বর্ণনা দিয়ে কমিশনার মাহবুব তালুকদার আরও বলেন, ‘খুব ছোট্ট ঘটনা। আমি তো বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে হেলিকপ্টারে কত জায়গায় গেছি। অন্যান্য সময়ে তার সঙ্গেও কত জায়গায় গেছি। কিন্তু আমি যে বঙ্গবন্ধুর গাড়ির দরজা বন্ধ করলাম, শেষ মুহূর্তে উনি যে তাকিয়ে দেখলেন, এটা আমার কাছে জীবনের গৌরবজনক ঘটনা মনে হয়। অতি সামান্য, কিন্তু কী অসামান্য এই ঘটনা।’
নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, মো. রফিকুল ইসলাম ও কবিতা খানম, ইসি সচিব মো. আলমগীরসহ অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পিডি/এমএআর/জেআইএম
Advertisement