আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আমাদের মধ্যে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে। কারণ স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি রাজাকার, আল বদর ও আল শামসদের তো কিছু লিগ্যাসি আছে। এই লিগ্যাসি দিয়েই তারা এখনো ষড়যন্ত্র করছে।
Advertisement
রোববার (১৮ আগস্ট) রাজধানীর আব্দুল গণি রোডের রেজিস্ট্রেশন অধিদফতর প্রাঙ্গণে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
তিনি বলেন, এ ষড়যন্ত্র থাকবেই। তাই ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে এবং ষড়যন্ত্রকে নির্মূল করতে হবে। তারা এখন যে ষড়যন্ত্র করছে তা দেশকে আরও ৫০ বছর পিছিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র।
আইনমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার কলঙ্ক আমরা কোনো দিন ঘোঁচাতে পারবো না। আমরা বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করেছি। এখন যদি দেশের সব মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারি তাহলে বঙ্গবন্ধুর প্রতি আমাদের ঋণ কিছুটা হলেও শোধ করতে পারবো।
Advertisement
তিনি বলেন, এখন প্রধানত দুটি কাজ- একটি হচ্ছে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সজাগ থাকা ও তা প্রতিহত করা এবং অন্যটি হলো দেশের সব মানুষের মুখে হাসি ফুটানো। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালীকরণের মাধ্যমেই কেবল এটা সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু একজন স্বাধীনচেতা ও অত্যন্ত আত্মসম্মান জ্ঞানসম্পন্ন মানুষ ছিলেন। তিনি কারো সঙ্গে কখনো আপস করেননি। তিনি নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের পথ বেছে নিয়েছিলেন, নিজের কষ্টের পথ বেছে নিয়েছিলেন এবং তিনি সেভাবেই জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে টেনে নিয়েছিলেন। তিনি নিজের জন্য কিছুই করার চেষ্টা করেননি। যেটাই করেছেন সেটা বাংলার জনগণের জন্য করেছেন। এটাই তার মহত্ত্ব।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীন হওয়ার চিন্তাভাবনা করতে শিখিয়েছেন। আমাদের স্বাধীনতা, দেশ, পতাকা ও সংবিধান দিয়ে গেছেন। শুধু তাই নয়, একটা স্বাধীন রাষ্ট্র নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য যেসব আইন প্রয়োজন মাত্র সাড়ে তিন বছরে সেটা তিনি তৈরি করে দিয়ে গেছেন।
আইনমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভায় আর উপস্থিত ছিলেন লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারোয়ার, নিবন্ধন অধিদফতরের মহাপরিদর্শক খান মো. আব্দুল মান্নান। সভায় লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নরেন দাস বঙ্গবন্ধুর জীবন আলেখ্য নিয়ে আলোচনা করেন।
Advertisement
সভা শেষে বঙ্গবন্ধু ও তার সঙ্গে নিহত পরিবারের সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
এইউএ/এএইচ/পিআর