পঞ্চগড়ে সেনাবাহিনীতে বেসামরিক পদে চাকরি দেয়ার কথা বলে সাত যুবকের কাছে ৩৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া সেই সোহাগ রানাকে (২০) আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন স্থানীয়রা। তবে তার বাবা ফরিদুল ইসলাম এখনো পলাতক রয়েছেন। সোহাগ রানার বাড়ি পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের নাককাটি এলাকায়।
Advertisement
এ ঘটনায় রোববার সকালে সেনাবাহিনীতে চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণা ও টাকা আত্মসাতের অভিযোগে হাড়িভাসা ইউনিয়নের সালটিয়া পাড়া এলাকার প্রতারিত সৌরভ হোসেনের বাবা আব্দুল গফফার অভিযুক্ত সোহাগ রানা (২০) ও তার বাবা ফরিদুল ইসলামের (৪২) বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি মামলা করেন। দুপুরে সোহাগ রানাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ফরিদুল ইসলাম ও তার ছেলে সোহাগ রানা সৌরভ হোসেনসহ হাড়িভাসা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের সাত যুবককে সেনাবাহিনীতে বেসামরিক পদে চাকরি দেয়ার নামে জনপ্রতি আড়াই থেকে পাঁচ লাখ টাকা করে মোট ৩৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। প্রতারণার বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর থেকে ফরিদুল ইসলাম ও সোহাগ রানা পলাতক ছিলেন। শনিবার রাতে হাড়িভাসা বাজারে সোহাগ রানাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন স্থানীয়রা।
পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) একরাম আলী বলেন, সেনাবাহিনীতে চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণা ও টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সোহাগ রানা ও তার বাবা ফরিদুলের নামে মামলা হয়েছে। প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার সোহাগ রানাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।।
Advertisement
সফিকুল আলম/আরএআর/পিআর