আসামিপক্ষের আবেদনে সমকালের শাহজাদপুর প্রতিনিধি আব্দুল হাকিম শিমুল হত্যা মামলার চার্জ গঠনের তারিখ আবারও পেছানো হয়েছে। রোববার তৃতীয়বারের মত চার্জ গঠনের জন্য আগামী ২৫ আগস্ট তারিখ ধার্য করেছেন রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক অনুপ কুমার। এ সময় মামলার প্রধান আসামি শাহজাদপুর পৌরসভার বরখাস্ত মেয়র হালিমুল হক মিরুর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত।
Advertisement
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এন্তাজুল হক বাবু জানান, সাংবাদিক শিমুল হত্যা মামলাটি রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে আসার পর প্রথম চার্জ গঠনের দিন ছিল গত ৮ আগস্ট। এরপর দ্বিতীয় দিন ছিল ১৮ আগস্ট। কিন্তু আসামিপক্ষ নানা অজুহাতে বারবার চার্জ গঠনের জন্য তারিখ পেছানোর আবেদন করেন। এবার মামলার ৯ নম্বর আসামি কালু চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৫১ ধারায় আটক হয়েছে বলে চার্জ গঠনের তারিখ পেছানোর দাবি করেন। আদালত তাদের আবেদনে আগামী ২৫ আগস্ট চার্জ গঠনের জন্য তৃতীয়বারের মত দিন ধার্য করেছেন।
এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী একরামুল হক শাহজাদপুর পৌরসভার কারাবন্দি মেয়র (বরখাস্ত) হালিমুল হক মিরুর জামিন আবেদন করলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করেন। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জে আটক আসামি কালুকে আগামী ২৫ আগস্ট আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেয়া হয়। উচ্চ আদালত থেকে জামিনে থাকা অন্য ৩৬ আসামির জামিন বহাল রাখেন আদালত।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে পৌর মেয়র হালিমুল হক মিরুর শর্টগানের গুলিতে গুরুতর আহত হন সমকালের শাহজাদপুর প্রতিনিধি আবদুল হাকিম শিমুল। পরদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
Advertisement
এ ঘটনায় শিমুলের স্ত্রী নুরুন্নাহার খাতুন বাদী হয়ে মেয়র মিরুকে প্রধান আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে ১৮ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ২৫ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। তদন্ত শেষে পুলিশ একই বছরের ২ মে মেয়র মিরু, তার ভাই মিন্টুসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে মেয়র মিরু কারাগারে আছেন। তবে অপর ৩৭ জন আসামি উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হন।
সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি স্থানান্তরের জন্য গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। কিন্তু অজানা কারণে দীর্ঘ প্রায় ৭ মাস পর গত ১৪ জুলাই প্রজ্ঞাপনটি সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পৌঁছে। এরপর বহুল আলোচিত মামলাটি রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পৌঁছে।
আরএআর/পিআর
Advertisement