কোরবানির পশুর চামড়ার অস্বাভাবিক দরপতনের কারণ অনুসন্ধানে একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটি করার দাবিতে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। একইসঙ্গে রিটে চামড়ার দরপতনের ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত তা খুঁজে বের করতেও বলা হয়েছে।
Advertisement
রিটে কোরবানির পশুর চামড়ার মূল্যের অস্বাভাবিক দরপতন কেন অবৈধ হবে না এ মর্মে রুল জারিরও আর্জি জানানো হয়েছে।
রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ব্যারিস্টার মহিউদ্দিন মো. হানিফ (ফরহাদ) এই রিট করেন। রিটের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আইনজীবী নিজে।
হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের বেঞ্চে শুনানি হতে পারে বলে জানান এ আইনজীবী।
Advertisement
এবার কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে চলে নৈরাজ্য। পানির দামে চামড়া কেনেন ব্যবসায়ীরা। আবার অনেক চামড়া বিক্রি না হওয়ায় রাস্তায় পচে। এবারের কাঁচা চামড়ার বিগত ৩০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ দরপতন হয়। কোরবানির পশুর চামড়া রাস্তায় পচে নষ্ট হয়। বিনামূল্যেও নেয়নি। এ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। সিন্ডিকেট করে ফায়দা লুটে আড়তদার ও ট্যানারি মালিকরা।
উল্লেখ্য, এদিকে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সরকার ও ব্যবসায়ীরা মিলে কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করেছিল। এবার ঢাকায় প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম ৪৫-৫০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৩৫-৪০ টাকা হবে। গত বছর প্রতি বর্গফুটের দাম একই ছিল।
এছাড়া সারাদেশে খাসির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১৮-২০ টাকা এবং বকরির চামড়া ১৩-১৫ টাকায় সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে ব্যবসায়ীদের। গতবার খাসির চামড়ার দামও ছিল একই।
এফএইচ/জেএইচ/এমএস
Advertisement