সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের ড্রোন হামলায় একটি গ্যাস প্ল্যান্টে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের শায়বাহ তেলক্ষেত্র ও তেল শোধনাগারে চালানো ওই ড্রোন হামলার কারণে গ্যাস প্ল্যান্টে আগুন ধরে যায়। তবে এতে তেল উৎপাদন ব্যাহত হয়নি বলে জানিয়েছে সৌদি রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি আরামকো।
Advertisement
এর আগে হুথি বিদ্রোহীদের এক মুখপাত্র জানান, সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলে আরামকোর শায়বাহ তেলক্ষেত্র ও তেল শোধনাগার লক্ষ্য করে ১০টি ড্রোন নিক্ষেপ করা হয়েছে। শনিবার হুথি বিদ্রোহী পরিচালিত টেলিভিশন চ্যানেল আল মাসিরাহ এক প্রতিবেদনে এই হামলাকে গত পাঁচ বছরের মধ্যে সৌদিতে সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা বলে দাবি করেছে।
দেশটির জ্বালানি মন্ত্রী খালিদ আল-ফালিহ শায়বাহ তেলক্ষেত্রকে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বলে মন্তব্য করেছেন। রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা সৌদি প্রেস অ্যাজেন্সিকে তিনি বলেছেন, এই হামলার লক্ষ্য সৌদি আরব নয়। বরং বৈশ্বিক তেল সরবরাহের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে লক্ষ্য করা হয়েছে।
সৌদি আরামকো বলছে, হুথি বিদ্রোহীদের হামলায় কোনো হতাহত কিংবা তেল উৎপাদন ও সরবরাহ কাজ বাধাগ্রস্ত হয়নি। ইয়েমেনের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের সীমান্ত থেকে ১ হাজার কিলোমিটার দূরে সৌদির পূর্বাঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ শায়বাহ তেলক্ষেত্রের অবস্থান।
Advertisement
হুথির এক মুখপাত্র সংযুক্ত আরব আমিরাতের সীমান্ত লাগোয়া শায়বাহ তেলক্ষেত্রে হামলার ঘটনাকে সৌদি ভূখণ্ডে গত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় হামলা বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, ২০১৫ সালে ইয়েমেনে সৌদি জোটের হস্তক্ষেপের পর এটিই সবচেয়ে বড় হামলা।
ইয়েমেনের সাবেক প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মনসুর আল হাদি সরকারকে ক্ষমতায় বসানোর লক্ষ্যে সৌদি নেতৃত্বাধীন আরব সামরিক জোট ইরান সমর্থিত বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথিদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করে আসছে।
২০১৪ সালের শেষের দিকে হুথি বিদ্রোহীদের হামলার মুখে রাজধানী সানা ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন হাদি। ফলে দেশটিতে কয়েক বছর ধরে হুথি বিদ্রোহীদের সঙ্গে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের লড়াই অব্যাহত রয়েছে।
সূত্র : রয়টার্স।
Advertisement
এসআইএস/এমকেএইচ