দশটির দেশের মধ্যে শীর্ষ চারে থাকা কঠিন। তারপরও বাংলাদেশের মেয়েদের স্বপ্ন এশিয়ার সেরা চারে জায়গা করে নিয়ে ফ্রান্সের টিকিট পাওয়া। কাজটা কঠিন হলেও স্বপ্নের সেই ডালপালা ছড়িয়েই বাংলাদেশের মেয়েরা খেলতে যাচ্ছে এশিয়ান নারী যুব হ্যান্ডবল চ্যাম্পিয়নশিপ।
Advertisement
আগামী ২১ থেকে ৩০ আগস্ট মেয়েদের এই টুর্নামেন্টের আসর বসবে ভারতের জয়পুরে। শীর্ষ চার দল খেলবে আগামী বছর ফ্রান্সে অনুষ্ঠিতব্য যুব বিশ্বকাপ হ্যান্ডবলে। নারী যুব হ্যান্ডবল দল সোমবার ভারতের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবে।
বাংলাদেশের যুব নারী দলটি একদম নতুন। সেমিফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা কম। কিন্তু চেষ্টা তো করতে হবে। সেই প্রতিজ্ঞা নিয়েই সকাল-বিকেল অনুশীলনে ঘাম ঝরাচ্ছেন স্বর্না, শারমীন, পান্নারা।
এশিয়ার বাছাইয়ের দলগুলোর নাম দেখলেই পরিস্কার কতটা কঠিন বাংলাদেশের জন্য সেমিতে ওঠা। দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, উজবেকিস্তান, চায়নিজ তাইপে, ভারত, চীন, কাজাখস্তান, নেপাল ও মঙ্গেলিয়ার মতো হ্যান্ডবলে দক্ষ দলগুলো খেলবে জয়পুরে। কোরিয়া, জাপান, তাইপে, ভারত, চীন, উজবেকিস্তানকে পেছনে ফেলে সেরা চারে জায়গা করে নেয়াটা কস্টকরই।
Advertisement
২০০০ সালে ঢাকায় ষষ্ঠ এশিয়ান মহিলা জুনিয়র হ্যান্ডবল টুর্নামেন্ট হয়েছিল। কোরিয়ান মেয়েরা নেচেছিলেন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দে। বাংলাদেশ হয়েছিল সপ্তম। এখন লক্ষ্য পূরণ করতে হলে নিজেদের আরো তিন ধাপ ওপরে তুলতে হবে।
হ্যান্ডবল ফেডারেশনের কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলছিলেন, ‘হ্যান্ডবল খেলার খরচ অনেক। জাপান-কোরিয়া যেভাবে টাকা খরচ করে সেটা আমাদের দেশের পক্ষে সম্ভব নয়। জাপান হ্যান্ডবলের যে বাজেট তা আমাদের ফুটবলেও নেই। তারপরও হাত গুটিয়ে বসে না থেকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিয়মিত খেলতে হবে। তা না হলে নিজেদের শক্তিটা পরখ করা যাবে না।’
এ টুর্নামেন্টে ভালো করা প্রত্যয়ে মেয়েদের নিয়মিত প্রশিক্ষণে রেখেছে বাংলাদেশ হ্যান্ডিবল ফেডারেশন। ঈদের ছুটিও দেয়া হয়নি মেয়েদের। জামালপুরের ৫, পঞ্চগড়ের ২, যশোরের ২, নওগাঁর ৩, ফরিদপুর এবং রংপুরের ১ জন করে খেলোয়াড় রয়েছেন ক্যাম্পে।
যুব নারী হ্যান্ডবল দলআলপনা আক্তার (অধিনায়ক), খাদিজা খাতুন (সহ অধিনায়ক), সুমাইয়া বানু, আছিয়া আক্তার, পান্না আক্তার, বেবী আক্তার, শারমিন আক্তার, সুবর্ণা আক্তার স্বর্ণা, নাজনীন নাহার, মিষ্টি খাতুন, ফৌজিয়া রহমান তরু, সানজিদা আক্তার উর্মি, স্মৃতি আক্তার, ইসরাত জাহান ইভা। তৌহিদুর রহামন (কোচ), সৈয়দা তাসলিমা আক্তার (দলনেতা) এবং নুরুল ইসলাম (কর্মকর্তা)।
Advertisement
আরআই/আইএইচএস/এমএস