পাবনায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪শ ছাড়িয়ে গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালসহ জেলার অন্য তিনটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নতুন করে ৪০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন। সরকারি হিসেবে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগে একজনের মৃত্যুসহ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩১৯ জন। কিন্ত বেসরকারি হিসেবে আক্রান্ত সংখ্যা চার শতাধিক।
Advertisement
এদিকে পাবনা জেনারেল হাসাপাতালে ডেঙ্গু চিকিৎসা নিয়ে চিকিৎসক-নার্সদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। পাবনার সিভিল সার্জন ডা. মেহেদী ইকবাল জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় পাবনায় নতুন করে ৪০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ৩২ জন, বেড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছয়জন, ভাঙ্গুড়ায় একজন এবং চাটমোহরে একজন ভর্তি হয়েছেন।
তিনি বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধ এবং ডেঙ্গুর লার্ভা শনাক্তসহ তা ধ্বংসে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা জেলা ব্যাপী কাজ করছে।
এদিকে জেলায় সরকারিভাবে মঙ্গলবার পর্যন্ত ৩১৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত বলা হলেও বেসরকারিভাবে এ সংখ্যা ৪শ ছাড়িয়ে গেছে বলে জানা গেছে। বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল এবং ক্লিনিকে শতাধিক ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন বলে ওইসব হাসপাতাল ও ক্লিনিক সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। গত মঙ্গলবার পাবনা জেনারেল হাসপাতালে মাহফুজুর রহমান (২০) নামে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিচ্ছু এক শিক্ষার্থী মারা যান।
Advertisement
এদিকে ২৫০ শয্যার পাবনা জেনারেল হাসপাতালে প্রতিদিনের বাড়তি সাধারণ রোগীর পাশাপাশি ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে চিকিৎসক এবং নার্সদের হিমিশিম খেতে হচ্ছে।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা. আকসাদ আল মাসুর আনন জানান, তারা সীমিত ব্যবস্থার মধ্যে রোগীদের সর্বাত্মক সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
পাবনা বিএমএ’র সাধারণ সম্পাদক ডা. আনন বলেন, বিএমএ এবং হাসপাতালের তরফ থেকে আলাদা মনিটরিং টিম কাজ করছে।
পাবনা মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. শাফিকুল হাসান জানান, নতুন করে যাতে কেউ আক্রান্ত না হয় সেজন্য জনগণকে এডিস মশা ধ্বংস করতে হবে এবং এর থেকে সতর্ক থাকতে হবে। ঢাকা থেকে বাসসহ বিভিন্ন যানবাহনে এডিস মশা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এজন্য সংশ্লিষ্ট সবার সচেতন হওয়া জরুরি।
Advertisement
একে জামান/আরএআর/এমকেএইচ