জাতীয়

ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম

দেশকে নিয়ে আশাবাদী বাংলাদেশের নতুন প্রজন্ম, তারা দেশকে নেতৃত্ব দেয়ার সুযোগ চায়। সামাজিক ও রাজনৈতিক নানা সমস্যা নিয়ে উদ্বেগ থাকা সত্ত্বেও তারা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে রাজি বলে সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে।ব্রিটিশ কাউন্সিল, অ্যাকশন এইড ও ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব) পরিচালিত গবেষণায় এমন তথ্য জানা গেছে বলে মঙ্গলবার ব্রিটিশ কাউন্সিল থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘নেক্সট জেনারেশন বাংলাদেশ: ২০১৫ অ্যান্ড বিয়ন্ড’ শীর্ষক গবেষণার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের শতকরা ৭৫ ভাগ মনে করে ১৫ বছর পরে দেশ আরো সমৃদ্ধ হবে আর শতকরা ৬০ ভাগ মনে করে দেশ ঠিক পথেই এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এই আশাবাদের বিপরীতে রাজনৈতিক অস্থিরতা, দুর্বল অবকাঠামো ও দুর্নীতিই প্রধান সমস্যা আর এটাই তরুণ প্রজন্মের জন্য উদ্বেগের বিষয়।  গবেষণায় বলা হয়, সামাজিক দ্বন্দ্ব ও সহিংসতার কারণে অনেক তরুণই আংশিক বেকারত্বের শিকার ও তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী প্রত্যাশিত চাকরি পাচ্ছেন না। গত ১২ মাসে তরুণ প্রজন্মের শতকরা ৬২ ভাগ কোনো আয় করেনি। ১৫ থেকে ৩০ বছর বয়সী ৫ হাজার তরুণ ও কিশোরদের মধ্যে এ জরিপ চালানো হয়। সাসটেইনেবল ডেভলপমেন্ট গোল’স (এসডিজি’স) এর প্রসঙ্গে করা এ জরিপ  ব্রিটিশ কাউন্সিল পরিচালিত তরুণ প্রজন্মকে নিয়ে করা ধারাবাহিক গবেষণারই অংশ। এ গবেষণায় তরুণ প্রজন্মের ওপর প্রভাব বিস্তারকারী ৫টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। বিষয়গুলো হচ্ছে- সরকার ব্যবস্থা, আইন ও আদেশ, শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রের নিশ্চয়তা এবং পরিবেশ ও স্বাস্থ্য। গবেষণার প্রতিবেদনে আরো জানা যায়, শুধুমাত্র শিক্ষাই বেকারত্বের সমাধান না। প্রতিযোগিতামূলক শিক্ষাগ্রহণ শেষে চাকরি গ্রহণের প্রস্তুতি মুহূর্তে তরুণ প্রজন্ম বুঝতে পারে শিক্ষা ব্যবস্থায়  আরো বেশি প্রযুক্তিগত সুযোগ-সুবিধা, প্রশিক্ষিত ও যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক এবং আরো বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও প্রশিক্ষণের দরকার ছিলো। প্রতিবেদন অনুযায়ী, সার্বিকভাবে এ দেশের তরুণ প্রজন্ম স্বপ্ন দেখে একটি গণতান্ত্রিক, সাম্যবাদী ও সবুজ বাংলাদেশের। যে দেশে থাকবে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা, মানসম্পন্ন শিক্ষাব্যবস্থা, নিরাপত্তা ও সুরক্ষা, সুশাসন, চাকরির নিশ্চয়তা,  গণতন্ত্র, পরিবেশ ও সাম্যবাদী অবস্থা।এ গবেষণা উদ্বুদ্ধ করে, তরুণ প্রজন্মের এ উদ্বেগগুলো দেশের নীতি নির্ধারণী বিষয় ও পরিকল্পনা নথিতে অন্তর্ভুক্ত করতে। প্রতিবেদনের তথ্যগুলো মধ্যমেয়াদী পরিকল্পনা নথি যেমন- সপ্তম পাঁচ বছর মেয়াদী পরিকল্পনা (এসএফওয়াইপি) ও বাৎসরিক অনুষ্ঠান নথি যেমন- বাৎসরিক উন্নয়ন অনুষ্ঠানেও (এডিপি) অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে শুধুমাত্র রাষ্ট্রের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতাই পূরণ হবে না বরং বিশ্বব্যাপী উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এসডিজি’স বাস্তবায়নে সহায়ক হবে। প্রসঙ্গত, এ জরিপটি ২০১০ সালে তরুণ প্রজন্মকে নিয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিলের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত ও প্রকাশিত জরিপেরই ধারাবাহিকতার অংশ। তরুণদের নিয়ে করা এ ধরনের জরিপ বাংলাদেশে এটাই প্রথম। সময়ের আলোকে তরুণ প্রজন্মের মতামত ও দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে এ জরিপ। এসকেডি/আরআইপি

Advertisement