বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যেভাবে মিথ্যা বলছেন তাতে কবরের মধ্যে গয়েবলসও এখন লজ্জা পাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
Advertisement
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার সকালে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাংবাদিক ফোরাম জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। সভায় এমন মন্তব্য করেন তিনি।
সাংবাদিক নেতা ইকবাল সোবহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া, ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউটের সভাপতি আব্দুস সবুর, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, সাবেক মহাসচিব ওমর ফারুক, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, কুদ্দুস আফ্রাদ, ডিইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খন্দকার মোজাম্মেল হক, সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী প্রমুখ।
সভায় মন্ত্রী বলেন, গতকাল এক আলোচনায় বিএনপির মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বাংলাদেশের পাট শিল্প ধ্বংসের জন্য নাকি আওয়ামী লীগ দায়ী। মির্জা ফখরুলের মিথ্যা শুনে আমার মনে হয় কবরের মধ্যে গয়েবলসও এখন লজ্জা পাচ্ছে। কারণ তাকেও মির্জা ফখরুল ছাড়িয়ে গেছেন। আদমজি জুট মিল বেগম খালেদা জিয়া বন্ধ করেছে। অন্য পাটকলগুলোও খালেদা জিয়া বন্ধ করেছিল।
Advertisement
তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দায়িত্ব পাওয়ার পর অনেকগুলো পাটকল চালু করেছিল। এমনকি পাটকলের মালিকানার অংশ শ্রমিকদের হাতে দেয়া হয়েছিল। আর মির্জা ফখরুল নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে নিজের মিথ্যা বলার রেকর্ড নিজেই ভাঙছেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, এবার ১৫ আগস্ট বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন উপলক্ষে বিএনপি কেক কাটেনি। এ কেক না কাটা বিএনপি স্ব-প্রণোদিতভাবে করেনি। ১৫ আগস্ট ভুয়া জন্মদিনের কেক কাটার কারণে তারা যেভাবে জনগণের নিকট ঘৃণার পত্র হয়েছে এবং এ গর্হিত কাজের জন্য যে সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে সেটা থেকে বাঁচার জন্য। তবে তারা ১৬ আগস্ট জন্মদিন পালন করেছে।
‘অর্থাৎ ১৫ আগস্ট জন্মদিন ঠিক রেখে সেটা পরের দিন পালন করেছে। আমি বিএনপিকে অনুরোধ জানাব, দয়া করে আপনারা আপনাদের নেত্রীর জন্মের তারিখটা ঠিক করেন। যে দলের চেয়ারপার্সনের জন্মের তারিখ ঠিক নাই সে দল কীভাবে এগোতে পারে সেটাই আমার প্রশ্ন!’
তিনি বলেন, দেশে গত দশ বছরে যে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে তাতে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে পশু কোরবানি দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। কিন্তু সে তুলনায় ট্যানারির সংখ্যা বৃদ্ধি পায়নি। যদিও চামড়া শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বেড়েছে। এ সুযোগ নিয়ে একটি চক্র এবার চামড়ার দরপতনের খেলায় মেতেছে।
Advertisement
সরকার তাদের খুঁজে বের করার কাজ করছে। তাদের খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর এটাকে নিয়ে বিএনপি যেভাবে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে, সেটা ঠিক নয়। সরকার ইতোমধ্যে চামড়া রফতানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একইসঙ্গে চামড়া শিল্পের উন্নয়নে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে- বলেন তথ্যমন্ত্রী।
এমইউএইচ/এমএআর/এমএস