প্রবাস

দক্ষিণ কোরিয়ায় জাতীয় শোক দিবস পালন

 

যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সিউলস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে দূতাবাস দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করে।

Advertisement

১৫ই আগস্ট সকাল ৯টায় রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম দূতাবাস প্রাঙ্গণে সকল কর্মকর্তা কর্মচারী ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের উপস্থিতিতে সবাই কালো ব্যাজ ধারণ করে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন এবং ১৫ই আগস্ট শাহাদাৎ বরণকারী বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের আত্মার শান্তি কামনায় মোনাজাত করা হয়।

সন্ধ্যা ৬টায় সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের মূল পর্বের সূচনা হয়। এই পর্বে উপস্থিত ছিলেন- কোরিয়াস্থ বাংলাদেশি বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারাসহ প্রবাসী বাংলাদেশিরা। পরে শাহাদাৎ বরণকারীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সেই কালো রাত্রীতে নিহত সকল শহীদদের বিদেহী আত্মার শান্তি ও দেশের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

দূতাবাসের কর্মকর্তারা জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পড়ে শোনান। এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী ও অবদানের উপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয় যা উপস্থিত অনেককেই আপ্লুত, উদ্দীপ্ত ও অনুপ্রাণিত করে।

Advertisement

প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের উপর মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন কোরিয়াতে বসবাসরত বাংলাদেশের নাগরিকরা। মুক্ত আলোচনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামী কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। আলোচনায় অংশ গ্রহণকারী কোরিয়াস্থ আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মতিন, জেনারেল সেক্রেটারি এমডি শহিদুল ইসলাম শেখ, সিনিয়র সভাপতি রফিকুল ইসলাম ভুট্টো ও গোপালগঞ্জ অ্যাসোসিয়েশন অফ সাউথ কোরিয়ার সভাপতি শেখ মুরাদ হোসেনসহ অনেকেই শোককে শক্তিতে পরিণত করে নতুন উদ্যোমে শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার জন্য কোরিয়া হতেও যার যার জায়গা থেকে সাধ্যমত প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, যে মহান নেতার নেতৃত্বের মাধ্যমে সমগ্র বাঙালি জাতির কল্যাণ হয়েছে তার চিন্তা, চেতনা, পরিকল্পনা, দর্শন, জীবন ইতিহাস আমরা যত জানবো আমাদের হতে জাতির কল্যাণের ধারা ততোই শতধারায় প্রবাহিত হবে।

সমাপনী বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম বঙ্গবন্ধু ও ১৫ই আগস্টে অন্যান্য শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রাম ও জাতি গঠনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অশেষ অবদানের কথা তুলে ধরেন। সেই সাথে বঙ্গবন্ধু স্বপ্নবাস্তবায়নে দক্ষিণ কোরিয়াস্থ প্রবাসী বাংলাদেশিদের আরো গঠনমূলক ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।

দিবসটি উপলক্ষে দূতাবাসের হল রুমে বঙ্গবন্ধুর ছবি সংবলিত পোস্টার লাগানো হয় এবং বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর বিভিন্ন লেখকের বই প্রদর্শন করা হয়। সবশেষে বঙ্গবন্ধু স্মরণে কবিতা পাঠ করা হয় এবং উপস্থিত অতিথিদের ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি খাবার পরিবেশনের মাধ্যমে আপ্যায়ন করা হয়।

শেখ মুরাদ হোসেন, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে/এমআরএম/এমএস

Advertisement