আন্তর্জাতিক

গ্রিনল্যান্ড বিক্রির জন্য নয় : ট্রাম্পের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান

সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি বিশ্বের সবচেয়ে বড় দ্বীপ গ্রিনল্যান্ড কিনে নিতে চান। তিনি তার উপদেষ্টাদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন। তবে ট্রাম্পের এমন ইচ্ছার কথা প্রকাশ হতেই তা প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছে গ্রিনল্যান্ড। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানে লোন ব্যাগার রয়টার্সকে বলেন, আমরা ব্যবসার জন্য উন্মুক্ত, কিন্তু বিক্রির জন্য নই।

Advertisement

আগামী সেপ্টেম্বরে আর্কটিক এবং কোপেনহেগেনে সফর করার কথা রয়েছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের। গ্রিনল্যান্ড ডেনমার্কের একটি স্বশাসিত অঞ্চল। এই সফরে ডেনমার্ক এবং গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করবেন ট্রাম্প।

গ্রিনল্যান্ড কেনার ব্যাপারে ট্রাম্পের ইচ্ছার কথা প্রথম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশ করা হয়। দুটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, দ্বীপটি কেনার বিষয় ট্রাম্পের এমন চিন্তার কথা শুনে তার বেশ কয়েকজন উপদেষ্টা কৌতুক হিসেবেই নিয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউসের অনেকেই বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। তবে ড্যানিস রাজনীতিবিদরা ট্রাম্পের এমন ইচ্ছার কথাকে মোটেও গুরুত্ব দিচ্ছেন না।

ডেনমার্কের সাবেক প্রধানমন্ত্রী লার্স লোকে রাসমুসেন এক টুইট বার্তায় বলেন, বিষয়টি অসময়ে এপ্রিল ফুলের কৌতুকের মতোই। ড্যানিশ পিপলস পার্টির পররাষ্ট্র বিষয়ক মুখপাত্র সোরেন এসপার্সেন বলেন, ট্রাম্প যদি এটা সত্যিই ভেবে থাকেন তাহলে এটা নিশ্চিতভাবেই প্রমাণ হয়ে গেল যে তিনি পাগল হয়ে গেছেন। তিনি আরও বলেন, ডেনমার্কের ৫০ হাজার নাগরিককে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বিক্রি করে দেয়ার চিন্তা একেবারেই হাস্যকর।

Advertisement

উত্তর আটলান্টিক এবং আর্কটিক মহাসাগরের মধ্যে অবস্থিত গ্রিনল্যান্ড ড্যানিশ অর্থনীতির ওপর নির্ভরশীল। দ্বীপটি নিজেদের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিজেরা সামলালেও তাদের প্রতিরক্ষা এবং বৈদেশিক নীতির নিয়ন্ত্রণ করছে কোপেনহেগেন।

গ্রিনল্যান্ডের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল ইনুইত আতাকাতিগিতের (এআই) এমপি আজা কেমনিজ লারসেন রয়টার্সকে বলেন, আমি এটা নিশ্চিত যে, গ্রিনল্যান্ডের বেশিরভাগ মানুষই এটা বিশ্বাস করেন যে, দীর্ঘমেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে ডেনমার্কের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা ভালো।

টিটিএন/জেআইএম

Advertisement