মিয়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মানদালার একটি মিলিটারি কলেজ ও সরকারি স্থাপনায় বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সশস্ত্র হামলায় ১৫ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের বেশিরভাগ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। গত বৃহস্পতিবার এ হামলা হয়।
Advertisement
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জ মিন তুন এক বিবৃতিতে বলেন, পিন ও লুইন এলাকায় অবস্থিত দ্য ডিফেন্স সার্ভিসেস টেকনোলজি একাডেমিসহ আরও চারটি স্থানে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
সেনাবাহিনীর ওই মুখপাত্র তুর্কি রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা আনাদোলু নিউজ এজেন্সিকে বলেন, বিদ্রোহীদের সশস্ত্র এই হামলায় এই ঘটনায় সাত সেনা, পুলিশ সদস্য ও বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন। হামলার পর এর দায় স্বীকার করেছে সশস্ত্র গোষ্ঠী নর্দার্ন অ্যালায়েন্স।
জেনারেল জ মিন তুনের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, নাওং চ শহরে পাশে গোকটেক ভায়াডাক্ট রেল সেতু এলাকায় বিদ্রোহীদের সঙ্গে সেনাদের লড়াই চলছিল। পরে আরও একটি সেতু পার হয়ে বিদ্রোহীরা পুলিশের একটি কার্যালয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়।
Advertisement
তিনি বলেন, শান রাজ্যে সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন মাদক কারখানায় সেনা অভিযান চালানো হচ্ছে। তারই প্রতিশোধ নিতেই এই হামলা চালানো হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয় কিছু গণমাধ্যমেও তার মন্তব্য সমর্থন করে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
হামলার দায় স্বীকার করে নর্দার্ন অ্যালায়েন্সের সহযোগী আরাকান আর্মির মুখপাত্র খাইন তু খাই বলেন, তাদের যোদ্ধারাও বৃহস্পতিবারের হামলায় অংশ নেন। তিনি বলেন, ‘বার্মা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে জবাব দিতেই আমরা এই হামলা করেছি। আমাদের কমরেডদের ওপর হামলার জন্য এই জবাব দেয়া হয়েছে।’
এসএ/এমকেএইচ
Advertisement