জাতীয়

বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ রাষ্ট্রের আমূল পরিবর্তন এনেছিলেন

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে পাকিস্তান কনফেডারেশন বানানোর জন্য পঁচাত্তর পরবর্তী ২১ বছর চেষ্টা করা হয়েছিল।

Advertisement

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় চরিত্রের ক্ষেত্রে একটি আমূল পরিবর্তন এনেছিলেন। তিনি চিন্তা করে দেখেছেন যে কেবল একটি রাষ্ট্রীয় ভূখণ্ড কিংবা একটি মানচিত্র অথবা একটি পতাকা কিংবা জাতীয় সংগীত দিয়েই সে দেশের মানুষের মুক্তি আসে না। বঙ্গবন্ধু দ্বিতীয় বিপ্লবের মাধ্যমে বৈষম্য দূর করতে চেয়েছেন।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর ডাক অধিদফতর মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ আয়োজিত আলোচনাসভা ও মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, যে মুহূর্তে যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপ থেকে বাংলাদেশ উঠে দাঁড়াল, যে মুহূর্তে বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির স্বাধীনতাউত্তর কালের মধ্যে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বৈষম্যহীন সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি দিলেন, সেই মুহূর্তে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হলো। সেই বিষয়টি জানা এবং বোঝার চেষ্টা করলেই বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ সহজেই উন্মোচন করা সম্ভব।

Advertisement

এতে উপলব্ধি করা যাবে যে মানুষটি ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে পাকিস্তান আন্দোলনে শরিক হয়েছেন, সেই মানুষটি পাকিস্তান ভেঙে কেন স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করলেন, এইটুকু বুঝতে না পারলে আমাদের জন্য মূল সংকটটা থেকে যাবে।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে তিনি একটি কৃষিপ্রধান দেশকে ভূমির ওপর সিলিং দেয়া, শিক্ষার আলো ছড়ানো, বহির্বিশ্বের সঙ্গ টেলিযোগাযোগ সম্প্রসারণসহ বিশ্বে বাংলাদেশের কানেকটিভিটি তৈরির মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি ঠিকানায় পৌছানোর যাত্রা শুরু করেছিলেন যা পাকিস্তান পারেনি। আর পারেনি বলেই বাংলাদেশ পাকিস্তানের চেয়ে উন্নয়নের প্রতিটি সূচকে এগিয়ে।

এর আগে মন্ত্রী বাংলাদেশ ডাক বিভাগ কর্তৃক জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত দশ টাকা মূল্যমানের একটি স্মারক ডাকটিকিট, দশ টাকা মূল্যমানের একটি উদ্বোধনী খাম এবং পাঁচ টাকা মূল্যমানের ডাটা কার্ড অবমুক্ত করেন। পরে বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত হয়।

আরএম/বিএ

Advertisement