লক্ষ্মীপুরে এক ব্যক্তির ঠিকানা গোপন রেখে মামলার রায় এক তরফাভাবে পক্ষে নিয়ে জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি জানাজানির পর মামলা পুনর্বহালের আবেদন করলে ভুক্তভোগীকে মারধর করে লুটে নেয়া হয় অন্তত ৫০টি গাছ। সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের বিজয়নগর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে। এদিকে এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সোমবার বিকেলে লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপারের (এসপি) কাছে লিখিত আবেদন করা হয়েছে।অভিযোগে জানা গেছে, সদর উপজেলার বিজয়নগর গ্রামে স্থানীয় আমানত উল্যা হাওলাদারের ছয় শতাংশ জমি নিয়ে একই গ্রামের আবদুর রশিদের বিরোধ চলছিলো। ওই জমি নিয়ে ২০১৪ সালের ২১ মে প্রতিপক্ষ আবদুর রশিদ ও তার ভাই আবদুল মতিন বাদী হয়ে আমানত উল্যাহর বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর ল্যান্ড সার্ভে আদালতে একটি এলএসটি মামলা দায়ের করে। মামলায় আমানত উল্যার ঠিকানা গোপন রেখে রায়পুর থানা এলাকায় উল্লেখ করা হয়। প্রকৃতপক্ষে তিনি লক্ষ্মীপুর সদর থানা এলাকার বাসিন্দা। এতে বিবাদী সমন ও রেজিস্ট্রি কার্ড পাননি। ফলে গত ২৮ এপ্রিল ওই মামলায় একতরফাভাবে আবদুর রশিদের পক্ষে রায় হয়। এ রায়ের ছয়দিন আগে (২২এপ্রিল) অপর বাদী আবদুল মতিন মারা যান। রায়ের বিষয়টি জানাজানি হলে গত ২৭ মে মামলা পুনর্বহালের জন্য একই আদালতে আবেদন করেন আমানত উল্যাহ। আদালত তার আবেদন গ্রহণ করে শুনানির দিন ধার্য করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ২৯ আগস্ট বিজয়নগর গ্রামে আমানত উল্যাকে পিটিয়ে আহত করে আবদুর রশিদ ও তার লোকজন। পরে ১২ সেপ্টেম্বর আবদুর রশিদ ও স্থানীয় শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে ২০/৩০ জনের একদল লোক আমানত উল্যার অপর একটি জমির বিভিন্ন প্রজাতির অর্ধশতাধিক গাছ কেটে লুটে নেন। এসময় তারা দশ শতাংশ জমি জবর দখলের চেষ্টা করেন।এ ঘটনায় বিচার চেয়ে গত সোমবার পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমানের কাছে লিখিত আবেদন করেন আমানত উল্যাহ। পুলিশ সুপার ব্যবস্থা নেয়ার জন্য লক্ষ্মীপুর সদর থানা পুলিেশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসিকে নির্দেশ দেন। আমানত উল্যা হাওলাদার জানান, মামলা পুর্নবহালের আবেদন প্রত্যাহার করার জন্য আবদুর রশিদ ও তার ছেলে সোহেল তাকে হুমকি দেন। বর্তমানে তাদের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের ভয়ে তিনি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে চরম আতঙ্কে রয়েছেন। স্থানীয় সরকার দলীয় একটি প্রভাবশালী মহলের মদদে আবদুর রশিদ তার জমি জবর দখলে নিতে চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। এ ব্যাপারে আবদুর রশিদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। লক্ষ্মীপুর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন ভূঁইয়া জানান, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।কাজল কায়েস/এমজেড/পিআর
Advertisement