পুরান ঢাকার লালবাগের প্লাস্টিক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে ফায়ার সার্ভিস। আগুন নিয়ন্ত্রণের পর বৃহস্পতিবার সকালে এ কমিটি গঠন করা হয়।
Advertisement
ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক (অপারেশন) দীলিপ কুমার ঘোষকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে। সহকারী পরিচালক (এডি) আব্দুল হালিম এবং উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) নিউটন দাসকে কমিটির সদস্য করা হয়েছে। কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার আতাউর রহমান বলেন, ‘ইসলামবাগ এলাকার পোস্তা ঢালের ওয়াটার অক্সফোর্ড রোডে রাত পৌনে ১১টার দিকে প্লাস্টিক কারখানায় আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের ১৬টি ইউনিট। ঈদের বন্ধের কারণে কারখানায় কেউ ছিল না। আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি। এ ঘটনা তদন্ত্রে কমিটি গঠন করেছে ফায়ার সার্ভিস।’
এদিকে কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও ভেতর থেকে এখনও ধোঁয়া বের হচ্ছে। বাড়িটির সামনে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে এলাকাবাসী ও উৎসুক মানুষ ভিড় করছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
Advertisement
এলাকাবাসী জানান, লালবাগে ওই প্লাস্টিক কারখানায় বুধবার রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। কারখানার পেছনে কারেন্টের ট্রান্সমিটার বিস্ফোরণে রাত সাড়ে ১০টার দিকে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় রাত দেড়টায় এ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
পোস্তা ঢালের বাসিন্দা হায়দার আলী জানান, পোস্তা ঢালের ৬৯/১ ভবনে আগুন লাগে। তিনতলা ভবনে হাজী টিপুর প্লাস্টিক কারখানা। আশপাশে বাসাবাড়ি রয়েছে। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে ধোঁয়ায় পুরো এলাকা অন্ধকার হয়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিস ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতায় লোকজন বাসায় তালা লাগিয়ে নিরাপদ স্থানে চলে যায়।
ঘটনাস্থলে ভিড় করা ইব্রাহীম মিয়া বলেন, ‘ওই কারখানার আশপাশে সব চামড়ার গোডাউন। ট্রান্সমিটার বিস্ফোরণে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। আগুনে তিনটি বাড়ির মধ্যে থাকা কারখানার মালপত্র পুড়ে গেছে। এটি দেখতে আমরা এসেছি।’
আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও তার মতো এমন শতাধিক উৎসুক মানুষ কারখানার সামনে ভিড় করছেন। তবে আগুন লাগা গলির দুই পাশে পুলিশ থাকায় একটু দূর থেকে পরিস্থিতি দেখার চেষ্টা করছেন অনেকে।
Advertisement
এমএইচএম/এনডিএস/জেআইএম