গতকাল (বুধবার) ছিল পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস। কিন্তু কাশ্মীরের পাশে দাঁড়ানোর ডাক দিয়ে এই দিনটিই হয়ে গেল ‘কাশ্মীর সংহতি দিবস’। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান থেকে বিলাবল ভুট্টো বা শাহবাজ শরিফের মতো বিরোধী নেতারাও স্বাধীনতা দিবসের দিনে নির্যাতিত কাশ্মীরিদের পাশে দাঁড়ানোর ডাক দিয়েছেন।
Advertisement
পাক অধিকৃত কাশ্মীরের রাজধানী মুজফ্ফরাবাদে আইনসভায় বিশেষ অধিবেশনের ব্যবস্থা করে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, ভারত সামরিক অভিযান চালিয়ে কাশ্মীরের এই অংশ দখল করার পরিকল্পনা করছে। তিনি বলেন, শুধু কাশ্মীরে না থেমে তাদের লক্ষ্য পাকিস্তান দখল করা। কিন্তু পাক অধিকৃত কাশ্মীরে হামলা হলেই যুদ্ধ হবে বলে হুমকি দিয়েছেন ইমরান খান।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি তিনি বার্তা দিয়ে বলেন, তোমরা আরও এগিয়ে আসলে ভুল করবে। কারণ তোমাদের প্রতিটা ইটের জবাব আমরা পাথরে দেব। শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাব। সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, ১৯৪৭ সালে একটি কাগজের টুকরোয় কাশ্মীরের বাস্তবতা বদলে যায়নি। এখনকার পদক্ষেপেও বদলাবে না, ভবিষ্যতেও নয়। কাশ্মীর নিয়ে সমঝোতার জায়গা নেই।
আন্তর্জাতিক মহলের নজর টানতেই যে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের আইনসভার বিশেষ অধিবেশন, তা খোলসা করে ইমরান বলেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে আলোচনার জন্য এখনই বিশেষ অধিবেশন ডাকা হোক।
Advertisement
তিনি বলেন, ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে কাশ্মীরের বিশেষ অধিকার কেড়ে নেওয়াটা মোদির কৌশলগত কেলেঙ্কারি। শেষ তাসটি আগেই খেলে ফেলেছেন মোদি। কাশ্মীর সমস্যাকে এতদিন আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকে আড়ালে রাখার চেষ্টা করে এসেছে দিল্লি। কিন্তু মোদির এই পদক্ষেপে পুরো দুনিয়ার নজরে চলে এল কাশ্মীরিদের সমস্যা। ইমরান বলেন, কাশ্মীরি ভাই-বোনদের আশ্বস্ত করছি, আন্তর্জাতিক মঞ্চে তাদের দূত হয়ে কাজ করে যাব আমি।
এর আগে সোমবার মুজফ্ফরাবাদে ঈদ পালন করেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা বিলাবল ভুট্টো। ইমরান কাশ্মীর সমস্যাকে যথোচিত গুরুত্ব দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন তিনি। বেনজির ভুট্টোর ছেলে বিলাবল ভুট্টো বলেন, অন্য সব বিষয়ে মতভেদ থাকলেও কাশ্মীর নিয়ে আমরা সরকারের পাশে আছি, দরকারে যৌথ বিবৃতিও প্রকাশ করব।
বুধবার স্বাধীনতা দিবসের টুইট বার্তাতেও বিলাবল এবং পাকিস্তান মুসলিম লিগের নেতা শাহবাজ শরিফ জানাতে ভোলেননি, কাশ্মীরি ভাইদের লড়াইয়ে পাশে আছেন তারা।
টিটিএন/জেআইএম
Advertisement