সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে গিয়ে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিদ্দিকুর রহমানের উপর হামলার চেষ্টা করা হয়েছে। সোমবার রাত নয়টার দিকে ঘটনাটি ঘটে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের উত্তর শিঙ্গেরগাড়ী গ্রামে। এসময় বাল্য বিয়ের আয়োজন বন্ধ করে দিয়ে পুলিশ কনের বাবাসহ চার জনকে আটক করতে পারলেও বরসহ অন্যান্যরা পালিয়ে গেছেন। আটকদের মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কনের বাবা দুলাল হোসেন (৪৫), মাগুড়া ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার্ড (কাজি) নুরুল মুর্তুজা (৪০) ও বরযাত্রী মহুবার মিয়াকে (৪৫) এক মাস করে ও অপর বরযাত্রী মতিয়ার রহমানকে (৪০) তিনদিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। মঙ্গলবার সকালে তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।পুলিশ জানায়, নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের উত্তর শিঙ্গেরগাড়ী গ্রামের দুলাল হোসেন তার সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে সুইটি বেগমের সোমবার রাতে বিয়ের আয়োজন করে। একই গ্রামের রাজ্জাকুল ইসলামের ছেলে আদিল ইসলামের (২৫) সঙ্গে। কিন্তু মেয়েটি এই বিয়েতে রাজি ছিল না। সন্ধ্যায় মেয়েটি মুঠোফোনে কিশোরগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকতার কাছে অভিযোগ করে। অভিযোগে সে ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়ে বিয়ের আসরে অভিযান চালিয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধ করার অনুরোধ করে। কিন্তু কনের বাবাসহ বরযাত্রীর লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিদ্দিকুর রহমানের উপর হামলার চেষ্টা চালালে পুলিশ উক্ত চারজনকে আটক করলে বিয়ের আসর ছেড়ে বরসহ সকলে পালিয়ে যান। কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফিজার রহমান জাগো নিউজকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন ।কিশোরগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিদ্দিকুর রহমান জাগো নিউজকে জানান, তারা যে ঘটনাটি ঘটিয়েছে এতে তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করতে পারতাম। কিন্তু আমি সেটি করিনি। বাল্যবিয়ে বন্ধের আইন অনুযায়ী ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আটক চার জনের মধ্যে তিনজনকে একমাস করে ও একজনকে তিন দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছি।জাহেদুল ইসলাম/এমজেড/আরআইপি
Advertisement