জাতীয় শোক দিবসে ধানমন্ডি ৩২, বঙ্গবন্ধু জাদুঘর ও বনানী কবরস্থানসহ নগরজুড়ে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।
Advertisement
তিনি বলেন, ‘শোক দিবস উপলক্ষে শহীদদের উদ্দেশে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও সম্মান প্রদর্শন করবেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, মন্ত্রী, এমপিসহ সামরিক-বেসামরিক ও কূটনীতিকরা। তাদের নিরাপত্তায় কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’
রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২-এ বুধবার বেলা ১১টায় (১৪ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবসের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন আছাদুজ্জামান মিয়া।
ধানমন্ডি ৩২-এ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে আসা সর্বস্তরের মানুষকে শৃঙ্খলার সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতার অনুরোধ জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘নিরাপত্তার স্বার্থে ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে। প্রত্যেকটি গেটে আর্চওয়ে থাকবে। আর্চওয়ের মধ্য দিয়ে সবাইকে তল্লাশি করে প্রবেশ করতে দেয়া হবে।’
Advertisement
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘শোক দিবসে শ্রদ্ধা জানাতে ধানমন্ডি ৩২-এ সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে। শৃঙ্খলার স্বার্থে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও যান চলাচলে নতুন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নিরাপত্তায় নির্ধারিত পোশাকে ও সাদা পোশাকে পুলিশ, র্যাবের সদস্যরা সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবেন। ভিভিআইপিদের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে উন্মুক্ত করে দেয়া হবে ধানমন্ডি ৩২ এলাকা। তবে সবাইকে আর্চওয়ে ও তল্লাশির মধ্য দিয়ে ঢুকতে হবে।
কমিশনার বলেন, ‘পুরো ধানমন্ডি ৩২ এলাকা নিরাপত্তার স্বার্থে সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। চেকপোস্ট ও আর্চওয়ে পেরিয়ে সবাইকে যেতে হবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে।’
ডিএমপি কমিশনার জানান, ভিভিআইপিদের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাধারণ মানুষ রাজনৈতিক-নেতাকর্মীরা রাসেল স্কয়ার দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে পারবেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে পশ্চিম প্রান্ত দিয়ে বেরিয়ে যাবেন। শ্রদ্ধা নিবেদনের ক্ষেত্রে অনেকে সেলফি বা ছবি তুলতে গিয়ে জটলা পাকান। অন্যদের শ্রদ্ধা নিবেদনে সুযোগ করে দিতে সবাই যথাসম্ভব দ্রুত বেরিয়ে যাবেন।
তিনি আরও জানান, এ এলাকা যানবাহনমুক্ত থাকবে। সোনারগাঁও ক্রসিং থেকে রাসেল স্কয়ার, সিটি কলেজ থেকে রাসেল স্কয়ার পর্যন্ত, ধানমন্ডি ২৭ থেকে রাসেল স্কয়ার পর্যন্ত যানবাহন চলাচল ও পার্কিং বন্ধ থাকবে। নিরাপত্তার স্বার্থে সবাইকে হেঁটে আসতে হবে। ধানমন্ডি লেকেও পাহারা থাকবে। সেখানে নিরাপত্তা বাহিনী ও গোয়েন্দা সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন।
Advertisement
এ ছাড়া নগরীজুড়ে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের কাঙ্গালিভোজসহ অজস্র অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকবে। সেখানেও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে বলেও জানান ডিএমপি কমিশনার।
এর আগে কমিশনার পুরো এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম, কৃঞ্চপদ রায়, মীর রেজাউল আলম ও আব্দুল বাতেনসহ ডিএমপির ঊধ্র্বতন কর্মকর্তারা।
জেইউ/এনডিএস/জেআইএম