ভারতের অন্যতম গর্বের একটি বিষয় চন্দ্রযান ২। ইতোমধ্যেই পৃথিবীর কক্ষপথ ছেড়ে চাঁদের দিকে পাড়ি জমিয়েছে এই চন্দ্রযান। কৃত্রিম উপগ্রহ চাঁদের আরও একটু কাছাকাছি পৌঁছেছে এটি। ট্রান্স লুনার ইনসারশান ইতোমধ্যেই সফল হয়েছে। বুধবার মধ্যরাত ২টা ২১ মিনিটেই এই কাজ সফল হয়েছে।
Advertisement
ইসরো জানিয়েছে, চন্দ্রযান ২ মূল কক্ষপথ থেকে বেরিয়ে গেছে। স্পেসক্রাফটের লিকুইড ইঞ্জিন ফায়ার হয়েছে ১২৩০ সেকেন্ডে। এর ফলে চাঁদের ট্রান্সফার ট্রেজক্টরিতে ঢুকে গেছে। চাঁদের কক্ষপথে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবীর চারদিকেও ঘুরবে এই যানটি।
এই অভিযানের জন্য এক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। এর আগে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ১৩০ কোটি ভারতবাসীর স্বপ্ন নিয়ে চাঁদের দেশে পাড়ি দেয় চন্দ্রযান-২। গত ২২ জুলাই কাউন্টডাউন শেষে স্থানীয় সময় ২টা ৪৩ মিনিটে এই যানটি যাত্রা শুরু করে।
গত ১৫ জুলাই উৎক্ষেপণের কথা থাকলেও একেবারে শেষ মুহূর্তে যাত্রা স্থগিত হয়েছিল। কারণ হিসেবে তখনই যান্ত্রিক ত্রুটির কথা জানিয়েছিল ইসরো। রকেট থেকে তরল গ্যাস নির্গত হওয়ার কারণেই ডানা মেলার ঠিক ৫৬ মিনিট ২৪ সেকেন্ড আগেই স্থগিত করা হয়েছিল জিওসিনক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল মার্ক থ্রির অভিযান।
Advertisement
এই রকেটের একটা ডাক নামও আছে। ভারতের সবচেয়ে শক্তিশালী এই রকেটের ডাক নাম দেয়া হয়েছে ‘বাহুবলী’। জনপ্রিয় দক্ষিণী সিনেমা বাহুবলীতে কাঁধে পাথরের ভারী শিবলিঙ্গ তুলে নিয়েছিলেন বাহুবলী। চন্দ্রযানকেও যেন অনেকটা সেভাবেই মহাকাশে নিয়ে যাবে জিএসএলভি। এমন অভিনব নাম দেয়া হয়েছে এই রকেটের।
ইসরোর ওই রকেটে চেপেই চাঁদের অন্ধকার দিকের রহস্য উদ্ঘাটন করবে চন্দ্রযান-২। ইসরো জানিয়েছে, উৎক্ষেপণের পর পৃথিবীর চারদিকে ঘুরপাক খেয়ে চাঁদের কক্ষপথে ঢুকে পড়বে এই যানটি। পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী, আগামী ৬ সেপ্টেম্বর ‘লুনার সারফেস’ বা চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করবে যানটি।
টিটিএন/এমকেএইচ
Advertisement