বুধবার অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর আগে বারবার ঘুরেফিরে আসছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের গতিতারকা জোফরা আর্চারের নাম। ঐতিহাসিক লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অভিষেক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ক্যারিবীয় বংশোদ্ভূত এ পেসারের।
Advertisement
টেস্ট ইতিহাসের অন্যতম সেরা বোলার জেমস অ্যান্ডারসনের জায়গায় খেলার কথা রয়েছে তার। ইনজুরির কারণে এ ম্যাচ থেকে ছিটকে যাওয়া অ্যান্ডারসন লর্ডসে মাত্র ২৩.৮৯ গড়ে শিকার করেছেন ১০৩টি উইকেট। যে কারণে তার জায়গায় খেলতে নামার অপেক্ষায় থাকা আর্চারের প্রতিও রয়েছে সমান প্রত্যাশা।
নিয়মিত ঘণ্টার ৯০ মাইল বেগে বোলিং করতে পারার জন্য নামডাক কুড়ানো আর্চার প্রত্যাশার কতটুকু মেটাতে পারবেন তা সময়ই বলে দেবে। তার আগে প্রয়োজন মূল ম্যাচে অভিষেক। তবে আর্চার নিজে জানিয়েছেন তিনি প্রস্তুত রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইনআপের পরীক্ষা নেয়ার জন্য।
আর্চার বলেন, ‘প্রথমত অবশ্যই আমার অভিষেক হতে হবে। সুযোগ পেলে তখন আমি সপ্তাকাশে উড়বো! তবে টেস্ট অভিষেকের অনুভূতি কেমন হবে তা এখনই বলতে পারছি। আমি জানি যে মাঠে কোনো অলৌকিক কিছু করা যায় না। আমি শুধু নিজের সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করতে পারি এবং সর্বোচ্চ ঢেলে দিতে পারি মাঠে।’
Advertisement
এদিকে অস্ট্রেলিয়ান কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার জানিয়েছেন ভিন্ন কথা। তার মতে টেস্ট ক্রিকেটের জন্য প্রস্তুত নন আর্চার। অসি কোচ সরাসরি উল্লেখ করেই দিয়েছেন যে সীমিত ওভারের ক্রিকেটের সাদা বলের সঙ্গে লাল বলের টেস্ট ক্রিকেটের পার্থক্য অনেক।
তাই আর্চারকে থামানোর পরিকল্পনা জানাতে গিয়ে ল্যাঙ্গার বলেন, ‘আর্চার কেমন করে তা দেখার জন্য আমি মুখিয়ে আছি। গত ১১ মাসে মাত্র ১টি লাল বলের ম্যাচ খেলেছে সে। সন্দেহ নেই যে সে দুর্দান্ত একজন অ্যাথলেট এবং প্রতিভাবান বোলার। তবে লাল বলের টেস্ট ক্রিকেট আর সাদা বলের ক্রিকেট কখনোই এক নয়। আমাদের পরিকল্পনা থাকবে তাকে যত বেশি হতাশ করা যায় এবং আক্রমণ থেকে সরিয়ে দেয়া যায়। যাতে সে দ্বিতীয়, তৃতীয় বা চতুর্থ স্পেলের কথা ভাবতে থাকে। সে কেমন করে তা দেখতে সত্যিই আগ্রহী আমি।’
অসি কোচের এমন মন্তব্যের জবাবে আর্চার সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি লাল বলের টেস্ট ক্রিকেট খেলতে পুরোপুরি প্রস্তুত। অস্ট্রেলিয়া দলের জন্য সতর্কবার্তা জানিয়ে আর্চার বলেন, ‘আমি এখন অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি প্রস্তুত। আমি এরই মধ্যে এক ম্যাচে ৫০ ওভার বোলিং করেছি। অন্য যেকোনো সময় আমিই সবচেয়ে বেশি বোলিং করে থাকি। ল্যাঙ্গারের হয়তো এটি জানা নেই, এ বিষয়েও এখন তাকে সতর্ক থাকতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাদা বলের চেয়ে লাল বলেই বেশি খেলেছি আমি। টেস্ট ক্রিকেটই আমার পছন্দের ফরম্যাট। প্রথম শ্রেণির সঙ্গে টেস্ট ক্রিকেটের অনেক মিল রয়েছে। আপনার জানা থাকে যে কী করতে হবে, আপনার শক্তিমত্তা কী? প্রথম শ্রেণির ম্যাচ টিভিতে খুব বেশি দেখায় না। যে কারণে লোকে শুধু স্কোরকার্ডই দেখে। যা কখনোই পুরো ধারণা দিতে পারে নয়া।’
Advertisement
এসএএস/পিআর