এবার ঈদুল আজহায় ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় হবে না বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক। ঈদুল আজহা উপলক্ষে মঙ্গলবার শুরু হওয়া ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।মন্ত্রী বলেন, রেলওয়ের শিডিউল বিপর্যয় রোধে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে রেলের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারীরা। ফলে এবার ঈদে ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় হবে না। টিকেট কালোবাজারি রোধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে জানিয়ে মো. মুজিবুল হক বলেন, একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ চারটি টিকেট কিনতে পারবেন। অগ্রিম টিকেট বিক্রির প্রথমদিন মঙ্গলবার বিক্রি হচ্ছে ২০ সেপ্টেম্বরের টিকেট। ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অগ্রিম টিকেট বিক্রি হবে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি হবে। রেলমন্ত্রী বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১৬ সেপ্টেম্বর ২১ সেপ্টেম্বরের, ১৭ সেপ্টেম্বর ২২ সেপ্টেম্বরের, ১৮ সেপ্টেম্বর ২৩ সেপ্টেম্বরের ও ১৯ সেপ্টেম্বর ২৪ সেপ্টেম্বরের টিকেট দেওয়া হবে। ঢাকায় কমলাপুর ও চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি হবে। ঈদের পর ফিরতি টিকেট ২৩, ২৪, ২৫, ২৬ ও ২৭ সেপ্টেম্বর যথাক্রমে ২৭, ২৮, ২৯, ৩০ সেপ্টেম্বর ও ১ অক্টোবর পাওয়া যাবে। রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, দিনাজপুর ও লালমনিরহাট স্টেশন থেকে ঈদ পরবর্তী টিকেট বিক্রি করা হবে। অগ্রিম টিকেট বিক্রি পরিদর্শনে গিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কথা বলেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক। এছাড়া যাত্রীদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত র্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও বাংলাদেশ রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ঈদের আগে তিন দিন এবং ঈদের পরে সাত দিন স্পেশাল ট্রেন সার্ভিস পরিচালিত হবে। রেলওয়ের যাত্রীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে সীমিত ক্ষমতা দিয়ে সর্বোচ্চ সেবা দেয়া হবে। রেলযাত্রী পরিবহনে কোনো সংকট থাকবে না। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে আটশ ৮৬টি যাত্রীবাহী কোচ রয়েছে। এর সঙ্গে যোগ হবে আরও একশ ৩৮ কোচ। একশ ৯৯ ইঞ্জিনের সঙ্গে আরো দুইশ ২৪ ইঞ্জিন যুক্ত করা হচ্ছে। ঈদ উপলক্ষে দৈনিক আড়াই লাখ যাত্রী পরিবহন করা হবে। এছাড়া অতিরিক্ত ট্রেনের মাধ্যমেও যাত্রী পরিবহণ করা হবে।আগামী বছর ঈদের আগেই আরো দু্ইশ ৭০ কোচ ট্রেনের বহরে যুক্ত হবে বলেও জানান মন্ত্রী। মন্ত্রী বলেন, রেলের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। কালোবাজারি রোধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যদি রেলের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী কালোবাজারির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কমলাপুরে নারী টিকেট কাউন্টার বাড়ানো প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ২০টি কাউন্টারে টিকেট বিক্রি হয়। এর মধ্যে দুটি নারী কাউন্টার । যদি যাত্রীদের চাহিদা বাড়ে প্রয়োজনে নারীদের জন্য আরো কাউন্টার বাড়ানো হবে। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ফিরোজ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দীন, বাংলাদেশ রেলওয়ের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক ও এডিজি (আরএস) মো. খলিলুর রহমানসহ বাংলাদেশ রেলওয়ে এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।জেইউ/একে/এএইচ/আরআইপি
Advertisement