নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার খালিশা চাপানী গ্রামের দিনমজুর লতিফ। ২ মেয়ে আর বৃদ্ধা মাকে নিয়ে বসবাস। দিন ৩০০ টাকায় চাতালে শ্রমিকের কাজ করেন। কিন্তু এ কাজও প্রতিদিন থাকে না তার। ছেলে-মেয়েদের ভালো খাবার এবং পোশাক দিতে পারেন না। তার ওপর কয়েকদিন আগের বন্যাতে বাড়ি-ঘর সব পানিতে তলিয়ে যায়। আশ্রয় নেন রাস্তায়।
Advertisement
বন্যায় চাতালগুলো বন্ধ ছিল। তাই কাজ ছিল না তার। ঈদের আগে বন্যা হওয়ায় পড়েন বিপাকে। নতুন পোশাক তো দূরে থাক ৩ বেলা খাওয়াই কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। চিন্তার ভাজ পড়ে লতিফের কপালে।
এমন অসহায় বন্যার্ত মানুষগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ডু সামথিং ফাউন্ডেশন। সংগঠনটির উদ্যোগে ঠাকুরগাঁও, গাইবান্ধা, নীলফামারী ও সিরাজগঞ্জ জেলায় গরু-ছাগল কোরবানি দিয়ে ৪০০টি পরিবারের মাঝে মাংস বিতরণ করা হয়। প্রতিটি পরিবারকে ১ কেজি মাংস, ২ কেজি চাল, ১ কেজি তেল, ১ কেজি আলু এবং ১ কেজি পেয়াজ দেয়া হয়।
ডু সামথিং ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবক আব্দুর রহিম জানান, বাংলাদেশের অবহেলিত অঞ্চল উত্তরবঙ্গের রংপুর বিভাগ। এ বিভাগে বাংলাদেশের সবচেয়ে দরিদ্র মানুষের বসবাস। ঈদের আগে বন্যা এসব জেলায় নতুন করে দুর্যোগ ডেকে আনে। মানুষের ঘরে কোনো খাবার ছিল না। ঈদে বন্যা কবলিত এসব অসহায় মানুষদের মুখে হাসি ফোটাতে আমাদের এ উদ্যোগ।
Advertisement
তিনি আছেন, অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান খশরু, কানাডা প্রবাসী ইঞ্জিনিয়ার মো. বাকী, আমেরিকা প্রবাসী জেসমিন আরা, ইয়ার জাকারিয়া এবং ডা. নাহিদ ফারজানার সামাজিক সংগঠন উইন্ডোসহ বিভিন্ন ব্যক্তির অর্থায়নে এ মহৎ কাজ করা সম্ভব হয়েছে।
সমাজের অন্যান্য বিত্তবানরা এভাবে এগিয়ে এলে গরিব মানুষের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হবে বলে মন্তব্য করেন রহিম।
এমএএস/এমএস
Advertisement