বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি ভাগ্যদোষে। না হয় লর্ডসে নিশ্চিত জয়ের ম্যাচে কিভাবে এভাবে নিউজিল্যান্ড রানার্সআপ হয়ে গেলো! কিন্তু বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হতে না পারলেও একটি ক্ষেত্রে অন্তত নিজেদের শীর্ষে নিয়ে যাওযার সুযোগ পেয়ে গেছে কিউইরা।
Advertisement
আগামীকাল (বুধবার) থেকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শুরু হতে যাচ্ছে নিউজিল্যান্ডের। এই সিরিজে লঙ্কানদের হোয়াইটওয়াশ (২-০) করতে পারলেই টেস্ট র্যাংকিংয়ে ভারতকে পেছনে ফেলে শীর্ষে উঠে যেতে পারবে কেন উইলিয়ামসনের দল।
১১৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে বিরাট কোহলির ভারত। তাদের চেয়ে মাত্র ২ পয়েন্ট কম নিউজিল্যান্ডের। কিউইদের পয়েন্ট ১১১। আগামীকাল থেকে গলে শুরু হচ্ছে সিরিজের প্রথম ম্যাচ। শ্রীলঙ্কা-নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার এই ২ টেস্টের সিরিজ আবার বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্ভূক্ত।
শ্রীলঙ্কানদের এখন যে অবস্থা, তাতে তাদেরকে ২ ম্যাচের এই সিরিজে ২-০ ব্যবধানেই হারানো সম্ভব নিউজিল্যান্ডের। লঙ্কানদের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের জন্য কিউইরা চারজন স্পিন স্পেশালিস্ট নিয়ে শ্রীলঙ্কায় এসেছে।
Advertisement
ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং, এই তিনদিক দিয়েই বলতে গেলে নিউজিল্যান্ড এখন বিশ্বের সেরা দল। এবার সেই শ্রেষ্ঠত্ব মাঠে দেখানো এবং কাগজে-কলমে প্রতিষ্ঠা করার দারুণ সুযোগ কিউইদের সামনে।
১১১ পয়েন্ট নিয়ে সিরিজ শুরু করতে যাওয়া নিউজিল্যান্ড যদি এই টেস্টে ২-০ তে জেতে, তাহলে তাদের মোট পয়েন্ট হয়ে যাবে ১১৫। সে ক্ষেত্রে ভারতের চেয়ে ২ পয়েন্ট এগিয়ে যাবে তারা। যদি ১টি ম্যাচ জেতে এবং অন্যটি ড্র হয়, তাহলে নিউজিল্যান্ডেরও পয়েন্ট হবে ১১৩। ভগ্নাংশের নিরিখে ভারতই থাকবে শীর্ষে, কিউইরা দুই নম্বরেই থাকবে।
আর যদি কোনোভাবে একটি টেস্ট হেরে যায়, অন্য টেস্ট জিতলেও তাদের পয়েন্ট যাবে ২ কমে। তখন কিউইদের মোট পয়েন্ট দাঁড়াবে ১০৯। কোনো টেস্টই যদি না জিততে পারে এবং একটি ড্র করে তাহলে তাদের পয়েন্ট হবে ১০৫, দ্বিতীয় স্থান থেকে নেমে যাবে চতুর্থ স্থানে।
আর যদি লঙ্কানদের কাছে ২ টেস্টেই হেরে যায়, তাহলে আরও বড় অধপতন ঘটবে কিউইদের। তখন পয়েন্ট হয়ে যাবে ১০৩, অবস্থান থাকবে চতুর্থ। শ্রীলঙ্কার পয়েন্ট ৯৪ থেকে হয়ে যাবে ৯৯ এবং তারা উঠে আসবে পঞ্চম স্থানে। তবে দুই টেস্টই যদি ড্র হয়, কেউ না জেতে, কেউ না হারে- তাহলে নিউজিল্যান্ডের পয়েন্ট হবে ১০৯। তারা থাকবে দ্বিতীয় স্থানেই।
Advertisement
আইএইচএস/জেআইএম