বিনোদন

কোরবানির ময়লায় ডেঙ্গুর ঝুঁকি বাড়বে : ফেরদৌস

‘প্রতি বছরই ঢাকার বাইরে থেকে আমার এক বন্ধু গরু পাঠায়। আমার গরুর হাটে যাওয়া লাগে না। ডিজিটাল বাংলাদেশ। তাই আমি প্রযুক্তির মাধ্যমে গরু কিনি। আমার বন্ধু গরুর ছবি তুলে পাঠায়। আমি ছবি দেখে গরু কিনি।

Advertisement

হাটে প্রচুর ভিড় হয় তো! কিছু কিছু হাট মানুষের জীবন একদম অতিষ্ট করে তোলে। সেক্ষেত্রে আমার মনে হয় সবার একটু সচেতন হওয়া উচিৎ।’ এভাবেই ঈদের অভিজ্ঞতা নিয়ে বলছিলেন ‘হঠাৎ বৃষ্টি’খ্যাত নায়ক ফেরদৌস।

বেশ কিছু বিষয়ে মানুষকে সচেতন হতে বলেছেন এই নায়ক। ফেরদৌস বলেন, ‘এবার যেহেতু ডেঙ্গুর প্রকোপ চারিদিকে তাই আমাদের বাড়তি সচেতনতার দরকার আছে। কোরবানি ঈদের আগে যেসব স্থানে হাট হয়েছে, হাট শেষ হওয়ার সাথে সাথে সে স্থানগুলো যেনো পরিস্কার করা হয়।

পরিস্কার না করলে আমাদেরই ক্ষতি হবে। পরিস্কার করার দায়িত্ব আমাদের নিজেদেরই নিতে হবে। এবার ঈদে আমাদের সবার জন্যই এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। ঈদ তো শেষ। এখন সেই চ্যালেঞ্জ কতোটা পালন করলাম সেদিকে নজর দেয়া উচিত। আমি আমার জায়গায় সচেতন ছিলাম। আশা করি সবাই নিজের দেয়া পশু কোরবানির ময়লা বা বর্জ্য পরিস্কার করেছেন।’

Advertisement

এ নায়কের মতে, ‘কোরবানির পর যদি চারপাশ আমরা ঠিক মতো পরিস্কার না করি তাহলে ডেঙ্গুর ঝুঁকি আরও বাড়বে। ভয়াবহ ব্যাপার হয়ে যেতে পারে। তাই সবাইকে সচেতন থাকা উচিৎ। ঈদ আমাদের সবচেয়ে বড় উৎসব। অবশ্যই আমরা আনন্দ করবো। কিন্তু এই আনন্দটা যেনো নিরানন্দে পরিণত না হয়।’

ছোটবেলায় হাটে যাওয়ার কোনো স্মৃতি মনে পড়ে কি? উত্তরে ফেরদৌস বললেন, ‘আমাকে কখনই পশুর হাট সেভাবে টানেনি। বাড়ির অন্যরাই কোরবানির পশু কিনে আনতেন। সেই পশুর সঙ্গে আমার ভাব হয়ে যেত। কোরবানি করার পর আমার ভীষণ মন খারাপ হয়ে হতো। ছোটবেলা থেকেই আমি পশু পাখিবাসি।’

কোরবানি ঈদে মুক্তি পাওয়া আপনার কোন ছবিটির কথা এখন মনে পড়ছে। ফেরদৌস বললেন, ‘ঈদে তো অনেক ছবি মুক্তি পেয়েছে। ঠিক মনে করতে পারছি না। তবে ‘হঠাৎ বৃষ্টি’-ও তো ঈদের সিনেমা ছিলো। সম্ভবতো কোরবানি ঈদেই মুক্তি পেয়েছিলো সিনেমাটি।

এছাড়া ‘প্রেমের জ্বালা’, বিয়াইন সাহেব’, ‘চুড়িওয়ালা’ আমার এমন অনেক ছবিই ঈদে মুক্তি পেয়েছে। সেগুলো দর্শকনন্দিত হয়েছে।’

Advertisement

ঈদের সিনেমা নিয়ে ফেরদৌস আরও বললেন, ‘এখন তো ঈদ উৎসবকে কেন্দ্র করে দুইটা তিনটা ছবি মুক্তি পায়। আগে আরও বেশি ছবি মুক্তি পেতো। এখন যেটা দেখা যায় বড় বাজেটের বেশিরভাগ ছবিই কপি ছবি। আর এই কপি ছবি কিন্তু মানুষ দেখছে না।

সাউথের ছবি থেকে কপি পেস্টিংয়ের মানসিকতা ছাড়তে হবে। আগের দিন আর নেই। এখন তো ইন্টারনেট খুললেই আমি আসল ছবিটি দেখতে পাচ্ছি। আসল রেখে কেনো নকল দেখতে যাবো।’

দর্শকদের উদ্দেশে ফেরদৌস বলেন, ‘দর্শকদের সবসময় ভালোবাসা। তারা আছেন বলেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। শিগগিরই চলচ্চিত্রের সুদিন আসছে। সারাদেশে প্রত্যেকটা শিল্পকলায় একটা করে সিনেপ্লেক্স করার পরিকল্পনা চলছে। সব জেলায় যদি সিনেপ্লেক্স হয়ে যায় তাহলে বেশ ভালো হবে। আমি বিশ্বাস করি দর্শকরা সবসময় আমাদের পাশে ছিলো, পাশে আছে, পাশেই থাকবে।’

এমএবি/এলএ/জেআইএম