খেলাধুলা

আর্চারকে থামাতে ‘সহজ’ পরিকল্পনা অস্ট্রেলিয়ার

এজবাস্টনে অ্যাশেজের প্রথম টেস্টটি ২৫১ রানের বড় ব্যবধানে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচের প্রথম ইনিংসে স্বাগতিক ইংল্যান্ড ৯০ রানের লিড নিয়েও দ্বিতীয় ইনিংসে আর পেরে ওঠেনি। ঘুরে দাঁড়ানোর মিশনে আগামী বুধবার (১৪ আগস্ট) ক্রিকেটের মক্কাখ্যাত লর্ডসে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামবে ইংল্যান্ড।

Advertisement

সে ম্যাচ শুরুর আগেই ইংলিশদের পক্ষে বেশ জোরেশোরে আলোচিত হচ্ছে একটি নাম- ডানহাতি গতিতারকা জোফরা আর্চার। লর্ডস টেস্টেই যার অভিষেক হতে যাচ্ছে বলে ধারণা সবার। আর্চারের ব্যাপারে বেশ সতর্ক প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়াও।

এরই মধ্যে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে নিজের কার্যকরিতা প্রমাণ করেছেন আর্চার। ক্যারিবীয় বংশোদ্ভূত এ পেসার শুধু নিয়মিত ৯০ মাইল গতিতে বল করেই থামেন না, দুর্দান্ত লাইন-লেন্থের সঙ্গে সুইংয়ের মিশেলে ব্যাটসম্যানদের মনে ভয় ঢুকাতে জুরি নেই তার। যে কারণে টেস্ট ক্রিকেটেও তার উজ্জ্বল ক্যারিয়ারের ব্যাপারে আশাবাদী অনেকেই।

তবে আপাতত লর্ডস টেস্টের দিকেই তাকিয়ে অস্ট্রেলিয়া। এজবাস্টনের মতো লর্ডসেও জিতলে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে অনেকটাই এগিয়ে যাবে সফরকারীরা। তাদের এ যাত্রায় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেন আর্চার। তাই এ পেসারের জন্য আগেভাগেই পরিকল্পনা সাজিয়ে ফেলেছেন অসি কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার।

Advertisement

ম্যাচ শুরুর দিনদুয়েক আগে ল্যাঙ্গারের পরিকল্পনা শুনে অবশ্য মনে হবে না যে আর্চারকে তারা ভয়ের কারণ হিসেবে দেখছে। অসি কোচ সরাসরি উল্লেখ করেই দিয়েছেন যে সীমিত ওভারের ক্রিকেটের সাদা বলের সঙ্গে লাল বলের টেস্ট ক্রিকেটের পার্থক্য অনেক।

তাই আর্চারকে থামানোর পরিকল্পনা জানাতে গিয়ে ল্যাঙ্গার বলেন, ‘আর্চার কেমন করে তা দেখার জন্য আমি মুখিয়ে আছি। গত ১১ মাসে মাত্র ১টি লাল বলের ম্যাচ খেলেছে সে। সন্দেহ নেই যে সে দুর্দান্ত একজন অ্যাথলেট এবং প্রতিভাবান বোলার। তবে লাল বলের টেস্ট ক্রিকেট আর সাদা বলের ক্রিকেট কখনোই এক নয়। আমাদের পরিকল্পনা থাকবে তাকে যত বেশি হতাশ করা যায় এবং আক্রমণ থেকে সরিয়ে দেয়া যায়। যাতে সে দ্বিতীয়, তৃতীয় বা চতুর্থ স্পেলের কথা ভাবতে থাকে। সে কেমন করে তা দেখতে সত্যিই আগ্রহী আমি।’

এসময় অসি কোচ সাফ জানিয়ে দেন এজবাস্টনে জয়ের সুখস্মৃতি নিয়ে বসে নেই তার দল। কারণ শুধু এজবাস্টনে নয়, পুরো অ্যাশেজ জিততেই ইংল্যান্ডে এসেছে অস্ট্রেলিয়া।

ল্যাঙ্গার বলেন, ‘আমরা সামনের দিকে যতোটা ভালো, পেছন থেকেও ঠিক ততোটা হতে হবে। সামনের দিকে ভালো হওয়াটা সবসময়ই সহজ। এজবাস্টনে জেতার পরই আমি বলেছিলাম আমরা এখানে শুধু এক ম্যাচ জিততে আসিনি, পুরো অ্যাশেজ সিরিজ জিততে এসেছি। তাই আমাদের পরিকল্পনা এমনভাবে করতে হবে যেনো পঞ্চম টেস্টে গিয়েও দ্বিতীয় টেস্টের মতো অবস্থায়ই থাকতে পারি।’

Advertisement

এসএএস/পিআর