জাতীয়

২৪ ঘণ্টা চ্যালেঞ্জ নিয়ে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ শুরু

২৪ ঘণ্টার চ্যালেঞ্জ নিয়ে রাজধানীতে কোরবানি পশুর বর্জ্য অপসারণের কাজ শুরু করেছেন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। সোমবার (১২ আগস্ট) ঈদের দিন সকাল থেকেই বিচ্ছিন্নভাবে পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু হয়। তবে দুপুর ২টার পর থেকে থেকে পুরোদমে শুরু হয়েছে এ কার্যক্রম।

Advertisement

ঢাকার দুই সিটি মিলে বর্জ্য অপরাসণে কাজ করছেন ১৪ হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মী। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকায় কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করবেন তারা।

দুই সিটির ওয়ার্ডগুলোকে বিভিন্ন অঞ্চলভেদে বিভক্ত করে চলছে এ বর্জ্য অপসারণের কাজ। দুই সিটিই নগরবাসীকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মেয়র।

এ বিষয়ে মেয়র সাঈদ খোকন বলেছেন, ‘ঈদের দিন সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুই সিটি কর্পোরেশন এলাকায় কোরবানি পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হবে।’

Advertisement

বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম নগরবাসীর সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি। বলেন, ‘বর্তমানে ডেঙ্গু পরিস্থিতি অত্যন্ত সঙ্কটাপন্ন। যদি কোরবানির বর্জ্য, পানি, রক্ত ইত্যাদি অপসারণ না করা হয় তাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। কারও এলাকায় যদি বর্জ্য থেকে যায় তাহলে হটলাইনে ০৯৬১১০০০৯৯৯ ফোন দেবেন। অপারেটররা আপনার বাসা-বাড়ি কিংবা এলাকায় পরিচ্ছন্নতাকর্মী পাঠিয়ে দেবেন। এছাড়া বর্জ্য অপসারণের সার্বিক কাজ ফেসবুকের মাধ্যমে তদারকি করা হবে।’

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘ঈদের দিন থেকে কোরবানির পশুর বর্জ্য তাৎক্ষণিকভাবে অপসারণ করা হবে। এছাড়া কোরবানির পশুর হাটসমূহ দ্রুত পরিষ্কারের জন্য ইতোমধ্যে নিজস্ব বর্জ্যবাহী ট্রাক, ভারী যন্ত্রপাতি, ওয়াটার বাউজারের পাশাপাশি আউটসোর্সিং থেকে অতিরিক্ত গাড়ি নিয়োজিত করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে বর্জ্য পরিবহন সক্ষমতা কমপক্ষে ১০ হাজার টনে উন্নীতকরণে প্রয়োজনীয় যান-যন্ত্রপাতি নিয়োজিত করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে ঈদের আগের দিন থেকে ঈদের পরবর্তী ২ দিন নিরবচ্ছিন্নভাবে বর্জ্য অপসারণের জন্য বর্জ্যবাহী ড্রাম্প ট্রাক ও খোলা ট্রাক ১৬৯টি, ভারী যান-যন্ত্রপাতি ২৮টি, পানির গাড়ি ১১টি, বেসরকারি ৮২টি এবং ভাড়ায় ১৪৮টি পিকআপভ্যানসহ সর্বমোট ৪৩৮টি গাড়ি নিয়োজিত রয়েছে।’

এদিকে সিটি কর্পোরেশন ছাড়াও পুরান ঢাকার আজিমপুর, লালবাগ আরমানিটোলাসহ বিভিন্ন এলাকায় অনেককে নিজ উদ্যোগে বর্জ্য পরিষ্কার করছেন।

Advertisement

এআর/আরএস/জেআইএম