কোনো রকমের মূল্য পরিশোধ না করেই বিলাসবহুল একটি আবাসিক হোটেলে শতাধিক দিন ছিলেন। বিল উঠেছিল ২৫ লাখ ৯৬ হাজার রুপি। পরিশোধও করেছিলেন ১৩ লাখ ৬২ হাজার রুপি। কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত ছিল, যেদিন চলে যাবে সেদিন সব বিল চুকিয়ে দেবে। কিন্তু ১২ লাখ রুপি বাকি রেখে পালিয়েছেন তিনি।
Advertisement
ঘটনাটি হায়দারাবাদের। ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম শংকর নারায়ণ। আর তিনি হায়দারাবাদের বিলাসবহুল তাজ বাঞ্জারা হোটেলে ছিলেন। কর্তৃপক্ষের দেয়া হিসাব মতে, শংকর নারায়ণ তাদের হোটেলে ১০২ দিন ছিলেন।
লাখ টাকার বিল পরিশোধ না করে পালিয়ে যাওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে হোটেল কর্তৃপক্ষের। এনডিটিভি জানিয়েছে, শংকর নারায়ণ নামের ওই ব্যক্তি একজন ব্যবসায়ী। তার বাড়ি বিশাখাপত্তনমে। ব্যবসার কাজে তিনি হোটেলে ছিলেন।
হোটেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঘটনাটি আজকের নয়। কর্তৃপক্ষের কাউকে কিছু না জানিয়ে চলতি বছরের এপ্রিলে হোটেল থেকে পালিয়ে যান। তারপর নানা ভাবে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন, হোটেলের সব বিল পরিশোধ করবেন।
Advertisement
কিন্তু আশ্বাস দেয়ার পর তিনি তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে রাখেন। কোনোভাবেই তার কাছ থেকে বকেয়া টাকা আদায় করতে না পেরে গত ৬ আগস্ট বাঞ্জারা হিলস থানায় শংকর নারায়ণের বিরুদ্ধে মামলা করেন হোটেলের ব্যবস্থাপক হিতেন্দ্র শর্মা।
পুলিশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে। শংকর নারায়ণের বিরুদ্ধে প্রতারণাসহ দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাঞ্জারা হিলস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পি রবি বলেন, ‘তাজ বাঞ্জারা হোটেল কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা শংকর নারায়ণের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।’
এসএ/পিআর
Advertisement