পবিত্র ঈদুল আজহায় রাজধানীতে জবাই করা গবাদিপশুর চামড়া কেনার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন লালবাগের পোস্তার আড়তদাররা। ছোটবড় আড়তদাররা আজ দিনভর নিজ নিজ আড়ত ধুয়েমুছে পরিষ্কার করা, ঈদের দিন চামড়া কেনার সঙ্গে সঙ্গে লবণ লাগানোসহ বিভিন্ন কাজের জন্য অতিরিক্ত চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক ঠিক করার কাজে ব্যস্ত সময় কাটান। আজ রোববার (১১ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টায় সরেজমিন পোস্তা ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি আড়তে অভিজ্ঞ কর্মচারীদের নিয়ে মালিকরা আগামীকাল কীভাবে চামড়া সংগ্রহ করবেন তা নিয়ে পরিকল্পনা করছেন। প্রতিটি আড়তের বেশিরভাগ স্থান জুড়ে লবণের বস্তা মজুদ করে রাখা হয়েছে।
Advertisement
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে একাধিক আড়তদার জানান, পোস্তার ব্যবসায়ীদের আগের সেই জমজমাট ব্যবসা আর নেই। চামড়ার ফ্যাক্টরির মালিকদের কাছে তারা জিম্মি হয়ে থাকেন। তাদের কাছ থেকে বাকিতে চামড়া কিনে নিলেও টাকা পরিশোধ করেন না। পোস্তার প্রতিটি আড়তদারদের চামড়া ফ্যাক্টরির মালিকদের কাছে লাখ লাখ টাকা পাওনা পড়ে রয়েছে। ঈদ এলে কিছু টাকা পরিশোধ করে আবার বাকিতে চামড়া সংগ্রহ করে ফ্যাক্টরিগুলো। এভাবেই আড়তদের টাকা বছরের পর বছর ফ্যাক্টরি মালিকদের কাছে পড়ে থাকে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক আড়তদার বলেন, ‘সরকারের কাছ থেকে চামড়া কেনার নামে ব্যাংক থেকে কোটি কোটি টাকা ঋণ নিলেও আড়তদারদের টাকা পরিশোধে তারা গড়িমসি করেন। এ ছাড়া সরকার প্রতি ফুট চামড়া ৫০ টাকা দাম নির্ধারণ করে দিলেও এ দাম কি লবণ লাগানোর আগে না কি পরে তা বলা হয়নি। তারা বলেন, সরকার দাম নির্ধারণ করে দিলেও সব খরচ মিটিয়ে তাদের পক্ষে ওই দামে চামড়া কিনে মুনাফা করা সম্ভব হয় না। তাই আড়তদাররা ইচ্ছে করলেও সরকার নির্ধারিত দামে চামড়া কিনতে পারেন না।’ তারা আরও বললেন, ‘এখন যে গরম পড়ছে তাতে দুপুর ১২টার আগে চামড়া সংগ্রহ করে তাদের কাছে আনলে খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা ভালো দাম পাবেন। দুপুর গড়ালেই চামড়া নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কেউ লাভের আশায় চামড়া ধরে রাখলে লোকসান গুনতে হবে।’
এমইউ/এসআর
Advertisement