দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলায় একটি অনুমোদনহীন নার্সিং হোমে আয়া দিয়ে প্রসব করানোর সময় নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ক্লিনিকের মালিক ও তার স্ত্রী বীরগঞ্জ হাসাপাতালের স্টাফ নার্সকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রোববার ভোর ৫টার দিকে বীরগঞ্জ নুর ল্যাব অ্যান্ড সিটি ক্লিনিক নার্সিং হোমে এ ঘটনা ঘটে।
Advertisement
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার ভোরে পৌর শহরের মাকড়াই গ্রামের রাজা মিয়ার স্ত্রী ফরিদা বেগমের প্রসব ব্যথা শুরু হয়। পরে তাকে বীরগঞ্জ নুর ল্যাব অ্যান্ড সিটি ক্লিনিক নার্সিং হোমে ভর্তি করা হয়। সেখানে আয়া দিয়ে প্রসব করানোর সময় ফরিদার নবজাতকের মৃত্যু হয়।
এ সংবাদ জানতে পেরে বীরগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি শাকিলা পারভীন ক্লিনিকে উপস্থিত হলে সেখানে সরকারি হাসপাতালের ওষুধ দেখতে পান।
তাৎক্ষণিকভাবে বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেনকে খবর দেন ওসি। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মো. ইয়ামিন হোসেন ক্লিনিকে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু সরকারি হাসপাতালের ওষুধ উদ্ধার করেন। পরে ক্লিনিকের মালিক পৌর শহরের ফিসারি মোড় এলাকার হাফিজ ভেন্ডারের ছেলে নুর আলমের বাড়িতে অভিযান চালান। সেখানেও বেশ কিছু সরকারি ওষুধ পাওয়া যায়। এরপর ভ্রাম্যমাণ আদলতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ক্লিনিক মালিক নুর আলম ও তার স্ত্রী বীরগঞ্জ সরকারি হাসপাতালের নার্স ফাহিমা আক্তারকে আটক করে থানায় নিয়ে যান।
Advertisement
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন বলেন, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সরকারি ওষুধ রাখার অপরাধে ও ক্লিনিকে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে। একই সঙ্গে অনুমোদনহীন ক্লিনিকটি সিলগালা করে দেয়া হয়েছে।
এমদাদুল হক মিলন/এএম/এমএস