আগামীকাল পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদকে কেন্দ্র করে পশুর হাট এখন জমজমাট। পশুর বেপারি ও বিক্রেতাদের অভিযোগ গত কয়েক দিনের তুলনায় আজকে (রোববার) দাম পড়ে গেছে। তারা কাঙ্ক্ষিত মূল্য পাচ্ছেন না। অন্যদিকে ক্রেতাদের অভিযোগ বেশি মুনাফার আশায় গরু ছাড়ছেন না বিক্রেতারা।
Advertisement
তবে গত দুই দিনের তুলনায় আজকে সকাল থেকে গরুর দাম কিছুটা কমেছে বলে জানিয়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই।
রাজধানীর আফতাবনগর হাউজিং হাট ঘুরে দেখা গেছে গত দুই দিনের তুলনায় সকাল থেকে ক্রেতা কম। হাট ভর্তি গরু। চলছে ক্রেতা-বিক্রেতার দর কষাকষি। আর শেষ মুহূর্তের ঝুঁকি না নিয়ে অল্প লাভেই গরু বিক্রি করে দিচ্ছেন বেপারিরা।
পাবনার সাঁথিয়া থেকে গরু নিয়ে আসা বেপারি সাঈদ জানান, গরুর দাম নেই বললেই চলে। গতকাল যে গরুর দাম এক লাখ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত বলেছে; আজকে ওই গরু ৯১ হাজার টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। পুরোই লোকসান বলে জানান তিনি।
Advertisement
কবির আহমেদ নামের এক ক্রেতা জানান, হাটে গরুর অভাব নেই। তারপরও বেশি লাভ করার জন্য বেপারিরা গরু বিক্রি করছেন না। একটা গরুর সর্বোচ্চ আড়াই থেকে তিন মণ মাংস হবে। অথচ দাম চাচ্ছে ৯০ হাজার টাকা! বাস্তবে গরুটার দাম সর্বোচ্চ ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা হবে। ৭০ হাজার টাকা বললাম তারপরও বিক্রি করছে না।
এদিকে সিরাজগঞ্জের হাসেম বেপারি জাগো নিউজকে বলেন, গরু গ্রামে কেনা পড়েছে ৮০ হাজার টাকা। এরপর এক সপ্তাহ খাওয়ানো গাড়ি ভাড়া করে ঢাকা আনাসহ প্রতিটা গরুর পেছনে প্রায় ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা করে খরচ হয়েছে। এখন এই গরুর দাম বলছে ৭০/৭৫ হাজার টাকা। প্রতিটি গরুতেই ১০/১২ হাজার টাকা লোকসান।
ক্ষোভ প্রকাশ করে এ গরু বিক্রেতা বলেন, লস দিয়ে গরু বিক্রি করবো না; প্রয়োজন হলে আবার গ্রামে ফেরত নিয়ে যাবো।
এদিকে পশু কিনতে আসা অনিক নামের এক ক্রেতা জানান, গতকাল রাতে গরু কিনতে এসেছি। রাত্রে বেপারিরা গরু বিক্রি করেন, অযথা বাড়তি দাম চেয়েছেন। রাতের তুলনায় সকালে গরুর দাম কিছুটা কমেছে। সকালে ৯০ হাজার টাকা দিয়ে একটি গরু কিনেছি। কুরবানির গরু কিনতে পেরে ভালোই লাগছে বলে জানান তিনি।
Advertisement
গতবারের তুলনায় এবার দাম কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, গতবারের তুলনায় অবশ্যই দাম বেশি। গতবার যে গরু ৮০ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছি এবার ওই সাইজের গরুর দাম নিচ্ছে লাখ টাকার উপরে।
এদিকে হাটগুলোতে বড় গরুর তুলনায় ছোট গরুর চাহিদা বেশি। দুই থেকে তিন মণ ওজনের গরু ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এসব গরুর ক্রেতা বেশি। বড় আকারের গরু তুলনামূলক কম বিক্রি হচ্ছে।
এসআই/এসএইচএস/পিআর