‘যে মানুষটি ৫০ হাজার টাকা দিয়ে গরু কিনতে পারছেন তিনি ৫৫ হাজার টাকা দিয়েও কিনতে পারবেন। যিনি ২ লক্ষ টাকা দিয়ে কিনছেন তিনি ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকা দিয়েও কিনতে পারবেন। কোরবানির গরুর দাম একটু বেশি হলেই ভালো।
Advertisement
যদি সেই বাড়তি টাকাটা কৃষক পান। যিনি সারা বছর যত্ন করে কোরবানির হাটে বিক্রি করার জন্য গরুটিকে সন্তানের মতো লালন পালন করেছেন। তার গরুটা একটু বেশি দামে কিনলে ক্ষতি নেই।’- কথাগুলো বলছিলেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা ডা, এজাজুল ইসলাম।
শিরোনামে চোখ বুলিয়ে রাগ করেছিলেন যারা তারা এতক্ষণে বুঝেছেন হয় তো এজাজের কথার মানে। সবার মুখে সব কথা মানায় না। কিন্তু ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা ডা. এজাজুল ইসলামের মতো মানুষের মুখেই এমন কথা দিব্যি মানিয়ে যায়। গরীবের ডাক্তর হিসেবে পরিচিত এজাজুল ইসলাম যখন এমন কথা বলেন তখন শুনতে ভালোই লাগে।
এজাজ বললেন, ‘হাটে গেলে টের পাওয়া যায় ব্যপারটি। কত কষ্ট করে রোদে পুরে বৃষ্টিতে ভিজে কোরবানির পশু বিক্রি করেন গৃহস্থরা। যদিও হাটে এখন পাইকারী গরু ব্যবসায়ীদের রাজত্ব। তবুও হাজার হাজার গৃহস্থরাও আসেন নিজের গরুটি নিজে বিক্রি করবেন বলে।
Advertisement
দূরের গ্রামে থেকে এসব পশু নিয়ে ঢাকা আসতে কতো ধকল পার করতে হয় তাদের। তাদের মুখের দিকে তাকিয়ে একটু বেশি দামে গরু কিনতে কষ্ট লাগে না।’
গরিবের ডাক্তার হিসেবেই পরিচিতি লাভ করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা ডা. এজাজ। বরাবরই এমন আবেগী হৃদয়ের মানুষ তিনি। বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
সরকারি দায়িত্ব পালন করে গাজীপুরে নিজের চেম্বারে সেখানকার মানুষদের চিকিৎসা দেন এজাজ। অসহায় গরিব মানুষদের চিকিৎসা করতে খুবই অল্প পরিমাণ টাকা ভিজিট নিয়ে থাকেন তিনি। তাই সবাই তাকে ‘গরিবের ডাক্তার’ নামে ডাকেন।
এজাজ জানালেন, কোরবানি ঈদের আগের দিন গরু কেনেন তিনি। এবারও তেমনই হচ্ছে। আর কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও ঢাকাতেই ঈদ করবেন।
Advertisement
এজাজ বললেন, ‘বাবা-মা কেউ বেঁচে নেই। তাই ঢাকাতেই ঈদ করি। গ্রামের বাড়ি ছুটে যাই মা ও বাবার মৃত্যুবার্ষীতে। মা-বাবাকে ছাড়া ঈদ ভাল্লাগে না মোটেও। কিন্ত কি আর করা যাবে! জীবন তো চলবে জীবনের নিয়মেই।’
বর্তমানে ডা. এজাজ অভিনীত চারটি ধারাবাহিক নাটক প্রচার হচ্ছে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে। নাটকগুলো হলো- অনিমেষ আইচ পরিচালিত ‘দ্য গুড দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’, মাসুদ সেজান পরিচালিত ‘খেলোয়াড়’, কায়সার আহমেদের ‘মহা ঝামেলা’ ও সঞ্জিত সরকার পরিচালিত ‘চিটিং মাস্টার’। ঈদ উপলক্ষ্যে কয়েকটি নাটকে অভিনয় করেছেন।
জনপ্রিয় এই অভিনেতা জানান তার অভিনীত একটি সিনেমাও আছে মুক্তির অপেক্ষায়। সিনেমাটির নাম ‘মামা মারে ছক্কা’। এটি পরিচালনা করেছেন নাইমুল করিম। এরই মধ্যে ছবিটির শুটিং শেষ করেছেন এজাজ।
এমএবি/এলএ/পিআর