জাতীয়

কোরবানির গরুর চামড়া প্রতি বর্গফুট ৪৫ থেকে ৫০ টাকা নির্ধারণ

এবারের কোরবানিতে গত বছরের মত গরুর কাঁচা চামড়া প্রতি বর্গফুট সর্বোচ্চ ৪৫ থেকে ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। চামড়ার ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক এবং স্থানীয় বাজার দর বিবেচনায় রেখে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে।

Advertisement

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী গরুর কাঁচা চামড়ার মূল্য রাজধানীতে প্রতি বর্গফুট ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, ঢাকার বাইরে প্রতি বর্গফুট ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। খাসির কাঁচা চামড়ার মূল্য সারা দেশে ১৮ থেকে ২০ টাকা এবং বকরির কাঁচা চামড়ার মূল্য হবে সারা দেশে ১৩ থেকে ১৫ টাকা।

মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার প্রায় ৮০ ভাগ চামড়া কোরবানির পশু থেকে সংগ্রহ করা হয়। কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহে অধিক সতর্কতা অবলম্বন করা একান্ত প্রয়োজন, যাতে চামড়ার কোন ক্ষতি না হয়। কোরবানির সময় অসতর্কতা বা না-জানার কারণে বছরে প্রায় ৩৩০ কোটি টাকার চামড়া নষ্ট হয়। টেকসইভাবে পশুর চামড়া আহরণ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা খুবই জরুরি।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ লেদার সার্ভিস সেন্টার নামক একটি প্রকল্পের মাধ্যমে কোরবানির চামড়া সংগ্রহের জন্য সচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে একটি ভিডিও চিত্রসহ প্রয়োজনীয় প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।

Advertisement

পশুর চামড়া অক্ষত এবং মান অক্ষুন্ন তথা টেকসই চামড়া আহরণে ১১টি বিষয় বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন বলে এ প্রকল্প থেকে বিবেচনায় রাখার অনুরোধ করা হয়েছে।

এই ১১টির বিষয়ের মধ্যে রয়েছে কোরবানির আগে পশুকে গোসল করিয়ে গা ভালোভাবে শুকিয়ে নিতে হবে। কোরবানির আগে পশুকে প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়াতে হবে। পশুকে পরিষ্কার ও সমতল জায়গায় জবাই করতে হবে। যাতে চামড়ার কোনো ক্ষতি না হয় এবং চামড়ায় ময়লা না লাগে। জবাই করার স্থানে পশুর রক্ত গড়িয়ে পড়ার জন্য একটি গর্ত করতে হবে। পরে তা ভালোভাবে মাটি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। পশুকে শোয়ার জন্য পশুর পা বেঁধে খুব সাবধানে শোয়াতে হবে, যাতে চামড়ার ক্ষতি না হয়। কোরবানির পশু জবাইয়ের পর নিস্তেজ হলে চামড়া ছাড়ানো শুরু করতে হবে। চোখা মাথার ধারালো ছুরি দিয়ে পশুর বুকের উপর দিয়ে লেজের গোড়া পর্যন্ত লম্বালম্বিভাবে এবং এক পা থেকে অন্য পা পর্যন্ত চামড়া ফেরে ফেলতে হবে।

এছাড়া বাঁকানো মাথার ধারালো ছুরি দিয়ে পশুর দেহ থেকে চামড়া ছাড়াতে হবে। চোখা মাথার ছুরি দিয়ে চামড়া ছাড়ানো যাবে না। এতে চামড়া ফুটো হয়ে যেতে পারে। চামড়া ছাড়াতে তাড়াহুড়া না করে স্বাভাবিক গতিতে পশুর দেহ থেকে চামড়া ছাড়াতে হবে। চামড়া টানা হেচড়া না করে বালতি বা পাত্রে করে নিতে হবে এবং রোদ-বৃষ্টি পড়ে না, এমন শুকনো খোলা জায়গায় রাখতে হবে। টানা-হেচড়া করলে, রোদে পুড়লে, বৃষ্টিতে ভিজলে চামড়ার ক্ষতি হবে। চামড়ায় রক্ত লাগলে সাথে সাথে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। চামড়া বিক্রয় করতে দেরি হলে যথাযথ প্রক্রিয়ায় লবণ দিয়ে রাখতে হবে।

বাসস/এএ

Advertisement