দ্বিতীয় মেঘনা, গোমতী ও কাঁচপুর সেতু চালুর সুফল পাচ্ছেন এবারের ঈদে বাড়ি ফেরা যাত্রীরা। গত ঈদুল ফিতরের মতো এবারের ঈদুল আজহায় যাত্রীরা যানজটের ভোগান্তি ছাড়াই স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছেন। মাত্র দেড় থেকে দুই ঘণ্টায় ঢাকা থেকে কুমিল্লায় যাচ্ছেন যাত্রীরা।
Advertisement
২০১৮ সালের ঈদুল আজহার সময় যারা যানজটের তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মহাসড়কের কাঁচপুর থেকে দাউদকান্দি পর্যন্ত যানজটে আটকে ছিলেন এবার তারা দুই ঘণ্টায় ঢাকা থেকে কুমিল্লায় যাচ্ছেন। যাত্রীদের সেই ভোগান্তির চিত্র এখন আর নেই। যানজটের সেই চির চেনা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের এখন ভিন্ন চিত্র।
গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুরু হয় ঈদের ছুটি। বাড়ি ফেরা মানুষ যাত্রীবাহী ও প্রাইভেট যানবাহনে স্রোতে মতো বাড়ি ফিরলেও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কোনো যানজট ছিল না। শনিবারও মহাসড়কের একই চিত্র ছিল। পুরো সড়ক ফাঁকা।
হাইওয়ে পুলিশ জানায়, শনিবার ভোর থেকে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ থাকলেও যানজট না থাকায় নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে পেরে স্বস্তি প্রকাশ করছেন যাত্রীরা। ২০১৮ সালের কোরবানির ঈদের দুইদিন আগে তীব্র যানজটের কারণে ঢাকা থেকে কুমিল্লায় আসতে সময় লেগেছিল ৫-৬ ঘণ্টা। এবার লাগছে মাত্র দেড় থেকে দুই ঘণ্টা।
Advertisement
কুমিল্লা-ঢাকা সড়কে চলাচলকারী রয়েল পরিবহনের চালক রমিজ উদ্দিন বলেন, গত কোরবানির ঈদে ঢাকা থেকে কুমিল্লায় আসতে সময় লেগেছিল প্রায় ছয় ঘণ্টা। কিন্তু নতুন তিনটি সেতু চালু হওয়ায় আগের মতো ভোগান্তি নেই। দেড় দুই ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা থেকে কুমিল্লায় পৌঁছতে পারছি আমরা।
কুমিল্লা বাস মালিক পরিবহন সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নতুন তিনটি সেতু চারলেন বিশিষ্ট হওয়ায় নির্ধারিত সময়েই আমাদের বাস সার্ভিস যাত্রীদের গন্তব্যে পৌছে দিতে পারছে। মহাসড়কে কোথাও কোনো যানজট নেই। তিনটি সেতু চালু থাকার সুফল পাচ্ছে যাত্রী, চালক ও মালিক পক্ষ।
দাউদকান্দির স্থানীয় সাংবাদিক শরীফ প্রধান বলেন, ঈদে যারা ২০১৮ সালেও বাড়ি গিয়েছিলেন তাদের কাছে কাঁচপুর, মেঘনা ও দাউদকান্দির গোমতী সেতু এলাকা ছিল দুর্ভোগের স্থান। কিন্তু গত রমজানের ঈদের মতো এবারের কোরবানির ঈদে ভোগান্তি ছাড়াই বাড়ি ফিরছেন যাত্রীরা। যাত্রীরা কখন বিনা যানজটে সেতু তিনটি অতিক্রম করছে তা টেরই পাচ্ছেন না।
দাউদকান্দি হাইওয়ে থানা পুলিশের ওসি সরকার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, নতুন তিনটি সেতু চালু থাকায় গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারের তুলনায় শনিবার গাড়ির চাপ কিছুটা কম। তবে পোশাক শ্রমিকদের ছুটি শেষে শনিবার রাত থেকে মহাসড়কে হয়তো যাত্রীবাহী বাসে যাত্রীদের চাপ কিছু বাড়তে পারে।
Advertisement
কুমিল্লা হাইওয়ে অঞ্চলের পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, কোথাও যানজট না থাকলেও আমরা কেউ বসে নেই। মহাসড়কের যানজটপ্রবণ এলাকাসহ সব স্থানে পুলিশের টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। রাতে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন রাখতে মহাসড়কে হাইওয়ে ও থানা পুলিশসহ স্থানীয় প্রশাসন বেশ তৎপর রয়েছে।
মো. কামাল উদ্দিন/এএম/জেআইএম