‘এই হাসিল ছাড়া কেউ গরু-ছাগল বের করবেন না। ভলান্টিয়াররা হাসিলের রশীদ নম্বরের সাথে গরু মিলিয়ে দেখে তবেই গেট পাশ দিবেন। এই সরেন সরেন, গরু আইলো, মারবো গোতা। ও ভাই, গরু দুইটার কত দাম?’
Advertisement
পৃথক এ তিনটি ডায়ালগ পুরান ঢাকার রহমতগঞ্জ ক্লাব মাঠ কোরবানির পশুর হাটের ভেতর ও বাইরের। গতকাল (রোববার) পর্যন্ত কোরবানির হাটে বেচাকেনা তেমন না জমলেও, আজ (শনিবার) সকাল থেকেই রহমতগঞ্জসহ বিভিন্ন পশুর হাটে বেচাকেনা জমে উঠেছে।
গত দুদিন বিরূপ আবহাওয়া ও বাজারের গবাদিপশুর হাটের অবস্থা বোঝার জন্য অনেকে বাজার ঘুরে দেখেছেন। ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে গবাদিপশু বেচাকেনা নিয়ে তেমন দর কষাকষি হতে দেখা যায়নি।
শনিবার দুপুরের পর থেকেই ক্রেতা-বিক্রেতার সরব উপস্থিতি ও দর-কষাকষি করে গরু-ছাগল বেচাকেনা চলছে। বিক্রেতারা বলছেন, দেশি গরুর চাহিদা বেশি। দামও লাখ টাকার ওপরে। তবে দাম একটু বেশি হওয়ায় তা সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। বেশিরভাগ ক্রেতারাই দেশি ও বিদেশি গরুর সংমিশ্রণে ক্রস প্রজাতির ও ছোট সাইজের গরু কেনার প্রতি ঝুঁকছেন। তবে অনেকেই পশুর দাম ও আর্থিক সঙ্গতির হিসাব মেলাতে না পেরে একাধিক হাটে ঘুরছেন।
Advertisement
দুপুরে সরেজমিনে রহমতগঞ্জ ক্লাব মাঠ ও হাজারিবাগ পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, বেচাকেনা বেশ জমে উঠেছে। ছোট সাইজের গরু ৪০ হাজার থেকে ৫৫-৬০ হাজার, মাঝারি থেকে বড় ধরনের ক্রস গরু আকারভেদে ৭০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা ও দেশি গরু ১ লাখ ২০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রহমতগঞ্জ ক্লাব মাঠে এক ব্যবসায়ীকে ৫টি বড় সাইজের গরু ৮ লাখ টাকায় কিনতে দেখা যায়। গরু পছন্দ হওয়ায় দুই কথায় গরুগুলো কিনে নেন তিনি।
আজিমপুরের বাসিন্দা হাসিবুজ্জামান জানান, তিনি সব সময় দেশি গরু কোরবানি দেন। তাই বাজার ঘুরে ঘুরে বাছাই করে পছন্দসই গরু কেনেন। এবারও হাজারিবাগ থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকায় গরু কিনেছেন বলে জানান।
বিক্রেতারা বলছেন, এবার ভারতীয় গরু না আসায় দেশিয় ক্রস প্রজাতির গরু বেশি উঠেছে। গতবারের চেয়ে দামও একটু বেশি। দাম একটু বেশি হলেও ক্রেতারা যেভাবে হাটে আসছেন তাতে শেষের দিকে গরু খুঁজে পাওয়া যাবে না বলে ধারণা করছেন। তবে গরুর তুলনায় ছাগলের বিক্রি কম।
Advertisement
এমইউ/এমএসএইচ/এমএস