‘শুক্রবার যারা গরু কেনেননি তাদের আজ চড়া দামে কিনতে হচ্ছে। আমিও এক লাখ পাঁচ হাজার টাকায় গরুটা কিনলাম। একই সাইজের গরু গতকাল পূর্বাচলের বাজারে দরদাম করেছিলাম আশি থেকে পঁচাশি হাজার টাকা।’
Advertisement
পূর্বাচল এক নম্বর সেক্টরে নির্মাণাধীন শেখ হাসিনা ক্রিকেট স্টেডিয়াম সংলগ্ন পশুর হাট থেকে গরু কিনে বাড়ি ফেরার পথে কথাগুলো বলছিলেন রাজধানীর খিলক্ষেতের বাসিন্দা আফাজ উদ্দিন মাস্টার। একই রকম বলেছেন বসুন্ধরা এলাকা থেকে গরু কিনতে যাওয়া হাফিজ উদ্দিন।
হাফিজ উদ্দিন জানান, গতকাল শুক্রবার দাম চড়া শুনে তিনি বাজার আসেননি। শনিবার দুপুরের নামাজের পর পূর্বাচলের পশুর বাজার প্রবেশমাত্র কিংকর্তব্যবিমূঢ় অবস্থা।
পূর্বাচল বাজারের পাশে খড় আর খৈল ব্যবসায়ী মনির হোসেন বলেন, শুক্রবার ব্যাপারীরা গরুর দাম বেশি হাঁকানোর কারণে বাজার থেকে গরু বেরোয়নি। তবে শনিবারের চিত্র ছিল সম্পূর্ণ আলাদা। সকাল থেকেই ব্যাপারীরা গরু ছাড়তে শুরু করছেন। মিনিটে মিনিটে বাজার থেকে গরু বের হচ্ছিল। দাম বেশি হলেও গরু কিনছেন বেশির ভাগ ক্রেতা।
Advertisement
কারণ হিসেবে ডুমনি এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মমিনুল ইসলাম বলেন, সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে এই বাজারে গরুর দাম। শুক্রবার সকাল থেকে পূর্বাচল এলাকায় গরুর দাম বেশি। বিক্রিও হচ্ছে ধুমচে।
তিনি জানান, এই অবস্থা চলতে থাকলে পূর্বাচল পশুর হাটে আগামীকাল গরুর সংকট দেখা দিতে পারে। আর এই আশঙ্কায় শনিবার হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন ক্রেতারা। সবার মনে অজানা আতঙ্ক, যদি আবার কাল শেষদিন গরু না পান।
পাবনার ব্যাপারী ইসমাইলের হাসিমুখ দেখলে যে কেউ বুঝবেন তার ভালো লাভ করার বিষয়টি। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, পরশুদিন ১২টি মাঝারি সাইজের গরু পূর্বাচল পশুর হাটে তুলেছি। গতকাল গরু ছাড়িনি। আজ ভালো দাম পেয়ে সবগুলো গরু বিক্রি করে দিয়েছি।
আরএম/বিএ/এমএস
Advertisement