জাতীয়

গাবতলীতে ১৫ লাখে উট, সাড়ে তিনে দুম্বা

আগামী পরশু (সোমবার) কোরবানির ঈদ। এ উপলক্ষে পুরোদমে জমে উঠেছে পশুর হাট। রাজধানীর স্থায়ী পশুর হাট গাবতলীতে গরু-ছাগলের পাশাপাশি এবারও উঠেছে উট-দুম্বা। লম্বা গ্রীবার এ প্রাণীটির চাহিদা বাংলাদেশে সীমিত হলেও দামে কম যাচ্ছে না। গড় সাইজের দুম্বার দাম হাঁকানো হচ্ছে ১৫ লাখ টাকা। আরও সাইজ অনুযায়ী আড়াই থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা দাম চাচ্ছেন বিক্রেতারা।

Advertisement

শনিবার দুপুরে গাবতলী পশুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, উট তিনটির শরীরে বয়সের ছাপ পড়েছে। তাছাড়া কাদায়-বালিতে গায়ের চামড়া ঠিক বুঝে ওঠা যাচ্ছে না। উট তিনটি দেখতে গেলে ঘাড় উঁচু করেই তাকাতে হচ্ছে। শান্ত স্বভাবের ‘মরুর জাহাজে’র দিকে তাকিয়ে হাঁক ছাড়লে সাড়া মেলে। ছোট লেজ নাড়িয়ে গায়ের পশম কাঁটা দিয়ে ওঠে উটের।

শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গাবতলী হাটের প্রধান ফটক কর্দমাক্ত। এর মধ্যেই যাওয়া-আসা করছে গরু, মহিষ ও ছাগলবাহী মিনিট্রাক, পিকআপ গাড়ি। কাদা মাখিয়েই হাটে ঢুকছেন, বের হচ্ছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। হাটের ২ নম্বর হাসিল ঘরের এক সেড পরেই টিনসেড ঘর। সেখানেই পাশাপাশি রাখা হয়েছে উট-দুম্বা।

উট আর দুম্বা দেখতে ভিড় করেছে ক্রেতা-দর্শনার্থীরা। ক্রেতাদের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। তবে দাম-দরে না মেলায় চারটি উটের মধ্যে ৮ লাখে বিক্রি হয়েছে মাত্র একটি।

Advertisement

মালিক আমজাদ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, প্রতিবছর কোরবানির ঈদ এলেই গাবতলীর পশুর হাটে আমি উট দুম্বা আর নেপালি গরু নিয়ে আসি। কারণ কোরবানির পশু হিসেবে কেউ কেউ উট-দুম্বা বেছে নেন। ভারতের রাজস্থান, গুজরাটের মরুভূমি এলাকা এবং হরিয়ানা থেকে উট ও দুম্বা আমদানি করা হয়।

তিনি বলেন, একটি বিক্রি হওয়ায় রয়েছে আরও তিনটি উট। একেকটির দাম হাকানো হয়েছে ১৫ লাখ। ১০ থেকে ১২ লাখের মধ্যে বিক্রি করা হবে। আর দুম্বা ওজন ও সাইজ অনুযায়ী দাম হাকানো হয়েছে আড়াই থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা। তবে দুম্বা এখনও বিক্রি হয়নি।

আলাপচারিতার মধ্যেই ক্রেতা মিরপুরের পোশাক ব্যবসায়ী শফিউল আজম বলেন, একটি উঠের দাম হাকেন ৮ লাখ টাকা। দাম-দরে নেমে আসে ১০ লাখে। তবে ক্রেতা শফিউল ৯ লাখ পর্যন্ত দাম হাকানোতে চূড়ান্ত হয়নি বিক্রি।

উট-দুম্বার দেখভাল করা সবুজ নামে এক যুবক জানান, দুম্বার প্রতি এবার আগ্রহ কম। অনেকেই দুম্বার দাম করে, কিন্তু দরের সাথে দাম মেলে না। তবে উটে লাভ হয়েছে একটা বিক্রি করে। বাকি তিনটারও পার্টি আছে। ক্রেতা না কিনলেও অন্য ব্যবসায়ী লাভের মধ্যই দাম হাকিয়েছে। আমরা অপেক্ষায় আছি। দুম্বা পিস প্রতি হাজার বিশেক করে লাভ হলেই বিক্রি কতে বলেছেন মালিক।

Advertisement

জেইউ/এমএসএইচ/জেআইএম